সর্বশেষ

জাতীয়নির্বাচন সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে পুলিশ : প্রেস উইং
সাজিদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ
হাদি হামলা: ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক, সন্দেহভাজন ফয়সালের সব হিসাব জব্দ
হাদির ওপর হামলাকারীদের ভারতে পালানোর তথ্য নেই: ডিএমপি
সুদানের আবেইতে ড্রোন হামলায় হতাহত বাংলাদেশিদের পরিচয় পাওয়া গেছে
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, সারাদেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সারাদেশকুড়িগ্রামে সিগারেট কোম্পানির অফিসে ডাকাতি, নৈশপ্রহরী নিহত
উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে, চলছে শৈত্যপ্রবাহ
পাবিপ্রবি ও জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ধামরাইয়ে পিকআপ থেকে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার, চারজন আটক
কক্সবাজার সৈকতে চালু হলো অত্যাধুনিক মাল্টিপারপাস পাবলিক টয়লেট
আন্তর্জাতিকযুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাগুলি : নিহত ২, আহত ৮
গাজায় বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডারের মৃত্যুর দাবি
খেলা২৪ ঘণ্টায় ৫০ লাখ টিকিট আবেদন, উচ্চমূল্যের মধ্যেও আগ্রহ অব্যাহত
দুর্নীতির অভিযোগে ভারতীয় চার ক্রিকেটারকে সাময়িক নিষিদ্ধ
সারাদেশ

পানির চরম সংকটে থানচি উপজেলা, ১ কলস সংগ্রহে লাগে ৩ ঘন্টা

মো.আরিফ, বান্দরবান 
মো.আরিফ, বান্দরবান 

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫ ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার বিদ্যামনি পাড়া, যেখানে মারমা, ত্রিপুরা, খুমি, চাকমা ও বাঙালি সম্প্রদায়ের সদস্যরা বসবাস করেন, সেখানে সুপেয় পানির অভাব একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এখানকার তিন গৃহিণী—সলিনা ত্রিপুরা, রেসমতি ত্রিপুরা ও গুগাতি ত্রিপুরা—প্রতিদিন পানির খোঁজে এক কিলোমিটার দূরে উঁচু পাহাড়ী পথ পাড়ি দিয়ে মগকক্রী ঝিড়ির শাখা থেকে মরা ঝিড়ি থেকে পানি সংগ্রহ করেন। ঝিড়ির পাথরের গর্ত থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি সংগ্রহ করা তাদের একমাত্র ভরসা। এক কলসি পানি সংগ্রহ করতে তাদের ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগে। সুপেয় পানি তো একদিকে, নিত্য প্রয়োজনীয় পানি পাওয়াও তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।

বিদ্যামনি পাড়া, যেখানে ৭০টি পরিবার বসবাস করে, এটি একটি সম্প্রীতির গ্রাম। এখানে মারমা, ত্রিপুরা, খুমি, চাকমা ও বাঙালি সদস্যরা একসাথে বাস করছেন। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট আরও মারাত্মক হয়ে উঠছে। সলিনা, রেসমতি ও গুগাতি জানান, তারা সকালে পানির জন্য যেতে পারেন না, কারণ সেখানে অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। বিকালে, তাদের জুমের কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পর রান্নার জন্য পানি না থাকার ফলে আবারও পানি সংগ্রহ করতে যেতে হয়।

গুগাতি ত্রিপুরা জানান, ঝিড়ির একটি ক্ষুদ্র উৎস থেকে বাঁশের খোল বসিয়ে পানির ফোঁটাগুলি সংগ্রহ করতে হয়। পূর্ণ কলসি পানির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করতে হয়। এই পানি দিয়েই তাদের রান্না, গোসল ও অন্যান্য গৃহস্থালি কাজ সমাধা করতে হয়।

২০১৫ সালে একটি এনজিও সংস্থা গ্রামের জন্য মগকক্রী ঝিড়ির শাখা থেকে গ্রাভিটি ফ্লো সিস্টেম (জিএফএস) স্থাপন করে, তবে ২০২৩ সালে কিছু গ্রামবাসী মৌজা হেডম্যানের অনুমতিক্রমে ওই স্থানটিতে জুম চাষ শুরু করেন, ফলে পানির উৎসের ক্ষতি ঘটে এবং গ্রাভিটি ফ্লো সিস্টেমগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে।

বিদ্যামনি পাড়ার প্রধান যাদুরাম ত্রিপুরা জানান, ২০২৩ সালে একটি এনজিও এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে গভীর নলকূপ বসানোর জন্য শ্রমিকরা এসেছিলেন, তবে কাজের অর্ধেক অংশ করে তারা চলে যান।

উপজেলার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী স্বপন চাকমা জানান, গ্রামবাসীরা যদি তাদের কাছে আবেদন করেন এবং সরকারের রাজস্ব খাতে ১০ হাজার টাকা জমা দেন, তবে গভীর নলকূপ বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। তবে, তিনি উল্লেখ করেন যে, তিনি দুইটি উপজেলার দায়িত্বে আছেন, ফলে সব জায়গায় সঠিক নজর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

৬৬৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন