সর্বশেষ

জাতীয়হাদির হত্যার প্রধান আসামি ফয়সাল ও সহযোগী ভারতে পলাতক: ডিএমপি
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী
খালেদা জিয়ার অবস্থা গুরুতর, সংকটময় সময় পার করছেন: মেডিকেল বোর্ড
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা এক মাস বাড়াল এনবিআর
সারাদেশপটুয়াখালী-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী এবিএম মোশাররফ হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিল
বগুড়ার সোনাতলায় ট্রেনের ধাক্কায় মা ও ছেলের মৃত্যু
দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে বিদেশি মদসহ ব্যক্তি আটক
ঘাটাইলে বিএনপির মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ওবায়দুল হক নাসির
ইতালি পাচারকালে যুবক হত্যার ঘটনায় দালালদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
ধামরাইয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ভাইয়ের হাতে খুন নিহত
আন্তর্জাতিকতাইওয়ানের উপকূলে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
গৃহযুদ্ধের মধ্যেই মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু
খেলাঅনুশীলনের সময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ঢাকার সহকারী কোচ
সারাদেশ

কচাকাটা স্কুলের গাছ বিক্রিতে দুর্নীতি, কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আতাউর রহমান বিপ্লব, কুড়িগ্রাম
আতাউর রহমান বিপ্লব, কুড়িগ্রাম

রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১৪ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
কুড়িগ্রামের কচাকাটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে ৭টি পুরনো ও মোটা গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ট্রেন্ডার ও বিক্রয় কমিটি এবং প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

নিলাম-ক্রয়কারী মাহাবুর রহমান অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক সরল মনে তাকে ফাঁসিয়ে তার নাম ব্যবহার করে নিজেই গাছগুলো নিলামে কিনে নিয়ে স্বার্থ হাসিল করেছেন। তিনি বলেন, নিলামের ব্যাপারে তার কোনো অবগতি ছিল না এবং এ বিষয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে সরেজমিনে কথা বলে জানা যায়, নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কচাকাটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরনো ঘর সংস্কারের নামে স্কুলের ভেতরে থাকা ৭০ বছরের পুরনো ৩টি মেহগুনি, ২টি রেইন্ট্রি কড়াই ও ২টি অর্জুন গাছ নিলাম ও বিক্রয়ের জন্য ২৬ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিঃ নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন ও আদেশ জারি করেন।

কমিটির আহবায়ক ছিলেন প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান কবির। অন্যান্য সদস্য ছিলেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার গোলাম মোস্তফা, উপজেলা পরিবেশ ও বন কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান শাহিন এবং বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোখলেসুর রহমান। অভিযোগ অনুসারে, তারা বিধি বহির্ভূতভাবে গোপনে দরপত্র আহ্বান করে, কাগজে-কলমে গাছের বাজার মূল্য নির্ধারণ ও মাহাবুর রহমানের নামে গাছ বিক্রি সম্পূর্ণ করেন।

প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান কবির নামমাত্র মূল্যে ৯৯,৯৭২ টাকায় ৭টি গাছ নিলামে কিনে নেন, যার আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। এছাড়া, প্রধান শিক্ষক কেটে নেওয়া একটি মেহগুনির ৩টি খন্ড স্থানীয় ব্যবসায়ী জাকিরুল ইসলামকে ৫০ হাজার, বিশ্বজিৎ মাস্টারের কাছে ৭ হাজার এবং বাবুর কাছে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। বাকি গাছের অংশ তিনি নিজ গ্রামে নিয়ে আসবাবপত্র তৈরির জন্য ভ্রাম্যমান ছমিল মালিক হামিদুল ইসলামের মাধ্যমে ফারাই করে।

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের গাছ কাটার নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান প্রধানের আবেদন ও কমিটির সভার পর বন বিভাগের মূল্যায়ন ও প্রকাশ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ বিক্রি করে বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগার বা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়া, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য বিদ্যালয়ে গাছ কাটা বন্ধ রাখতে নির্দেশনা জারি করেছে। তবে অভিযোগে বলা হয়েছে, টেন্ডার ও বিক্রয় কমিটি এসব বিধি অমান্য করে মোটা অর্থ ভাগ-বাটোয়ারার মাধ্যমে গোপনে নিলাম সম্পন্ন করেছেন।

স্থানীয়রা- রবিউল আলম, আনোয়ার হোসেন ও আব্দুস সালাম-বলেছেন, বিদ্যালয়ের ৭টি গাছের বাজার মূল্য প্রায় ৭ লক্ষ টাকা হলেও বিধি বহির্ভূতভাবে ৯৯,৯৭২ টাকায় গোপনে বিক্রি করে, কিছু গাছের খন্ড বিক্রি ও অবশিষ্ট অংশ বাড়িতে নিয়ে আসবাবপত্র তৈরি করা হচ্ছে। তারা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।

আরও কয়েকজন স্থানীয়- আতাউর রহমান, ওমর ফারুক, মাহিমুল ইসলাম মজনু, রবিউল ইসলাম ও হানিফ উদ্দিন বলেন, নুরুজ্জামান কবির কেদার ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সেক্রেটারি ছিলেন। তার পিতা ওই স্কুলের সভাপতি ছিলেন। এর ফলে প্রধান শিক্ষকের পদে আসার সময় স্কুলের কার্যক্রম যেন এক নায়কতন্ত্রের মতো পরিচালিত হতো।

প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান কবির জানান, সমস্ত কাগজপত্র ঠিক রেখে গাছ নিলামে বিক্রি হয়েছে। তিনি ফোন কেটে দিয়ে আলোচনা বন্ধ রাখেন।

উপজেলা পরিবেশ ও বন কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান শাহিন বলেন, গাছগুলো টেন্ডারে বিক্রি হয়েছে এবং ৪ সদস্যের কমিটি দরপত্র আহ্বান করেছিলেন।

উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার গোলাম মোস্তফা বলেন, বাজার মূল্য নির্ধারণ ও প্রকাশ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি প্রধান শিক্ষকের অনুরোধে করা হয়নি। তবে তিনি জানান, টেন্ডার ও বিক্রয়ের কাগজপত্র প্রধান শিক্ষকের কাছে আছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, তিনি টেন্ডার বা বিক্রয় কমিটিতে ছিলেন না এবং তার কাছে কোনো কাগজপত্র নেই।

জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ বলেন, তদন্তমূলক আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১২১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন