ঢাকার মঞ্চে বেগম রোকেয়াকে ঘিরে কাব্যনাট্য
মঞ্চায়িত হলো ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:৪৭ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাঙালি মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত, প্রথম বাঙালি নারীবাদী সাহিত্যিক ও সমাজসংস্কারক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে স্মরণ করে ঢাকায় মঞ্চায়িত হয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী কাব্যনাট্য ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি মাসের ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই প্রযোজনায় কবিতার ছন্দ, সুরের আবেশ ও কণ্ঠাভিনয়ের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় নারী জাগরণে রোকেয়ার স্বপ্ন, দর্শন ও সংগ্রামী চিন্তাভাবনা। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই কাব্যনাট্য দর্শক-শ্রোতাদের গভীর মনোযোগে উপভোগ করেন, মিলনায়তনজুড়ে বিরাজ করে নীরব মুগ্ধতা।
সমাজের অন্ধকার সময়ে নারীদের আত্মশিক্ষা, আত্মমর্যাদা ও আধুনিক মানসিকতার স্বপ্ন দেখেছিলেন বেগম রোকেয়া। সেই স্বপ্ন ও আদর্শই প্রযোজনার প্রতিটি পর্বে প্রতিফলিত হয়েছে শিল্পীদের কণ্ঠ ও অভিব্যক্তিতে।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ছিলেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। আবহসংগীতে ছিলেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার।
অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, বেগম রোকেয়ার সাহসী লেখনী ও দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা এই কাব্যনাট্যের মূল প্রেরণা। তার বাণীকে অবলম্বন করে কাব্য ও নাট্যের ভাষায় আজকের সমাজে নারীর অবস্থান এবং রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবায়িত হয়েছে, তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শত বছর পর তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আজও প্রশ্ন থেকে যায়—আজকের সুলতানারা কেমন আছেন, তারা কি সত্যিই নিজেদের অধিকার ও স্বাধীনতায় প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছেন? সেই অনুসন্ধানই এই প্রযোজনার মূল বক্তব্য।
সাহিত্য ও সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফরম ‘লেখার পোকা’–এর পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এ কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন ও অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র এবং নার্গিস সুলতানা।
রোকেয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যারা আজও নারীর অধিকার ও মর্যাদার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি উৎসর্গ করা হয় এই কাব্যনাট্য।
১১১ বার পড়া হয়েছে