সর্বশেষ

জাতীয়লুথার কিং-এর স্বপ্ন থেকে তারেকের পরিকল্পনা: নতুন স্লোগানের গল্প
১৭ বছর পর দেশে তারেক রহমান: রাজনীতির মোড় ঘোরানোর ইঙ্গিত
সারাদেশচাঁদপুরে মেঘনায় ঘন কুয়াশায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, নিহত ২
কুয়াশা কেটে যেতেই পদ্মা-যমুনায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
আন্তর্জাতিকযুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: বেইজিং
খেলাআজ থেকে শুরু বিপিএলের দ্বাদশ আসর, উদ্বোধনী ম্যাচ সিলেটে
রাজনীতি

১৭ বছর পর দেশে তারেক রহমান: রাজনীতির মোড় ঘোরানোর ইঙ্গিত

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪:০৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রাজনৈতিক অস্থিরতা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে তার এই প্রত্যাবর্তনকে দেশের রাজনীতিতে একটি বড় টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

২০০৮ সালে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে দেশ ছাড়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি দেশে ফেরেন সম্ভাব্য রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে। তার এই ফেরা শুধু ব্যক্তিগত প্রত্যাবর্তন নয়; বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্নিপরীক্ষা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারেক রহমান। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বুলেটপ্রুফ বাসে করে তিনি পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে বিকেল ৩টা ৫৭ মিনিটে শুরু হওয়া বক্তব্যে কোনো লিখিত বক্তব্য ছাড়াই ১৬ মিনিট কথা বলেন তিনি।

বক্তব্যে তারেক রহমান চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোর দেন—দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের রূপরেখা, উসকানি এড়িয়ে ধৈর্যের সঙ্গে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা, একাত্তর ও চব্বিশের চেতনা ধারণ এবং ন্যায়পরায়ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ক্ষমতার পরিবর্তন শুধু সরকার পরিবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত সংস্কারই তার লক্ষ্য। সন্ত্রাস, সংঘর্ষ ও প্রতিশোধের রাজনীতির বদলে ধৈর্য, সহনশীলতা ও ঐক্যের রাজনীতির আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ তার বক্তব্যকে সময়োপযোগী আখ্যা দিয়ে বলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তার মতে, এই বক্তব্য একটি জনআকাঙ্ক্ষিত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের পথনির্দেশনা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের সরাসরি উপস্থিতি বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিন ভার্চুয়ালি দল পরিচালনার ফলে যে সিদ্ধান্তহীনতা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছিল, তা সরাসরি নেতৃত্বের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে বলে তারা মনে করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন শুধু বিএনপির জন্য নয়, গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি মনে করেন, একটি চরম রাজনৈতিক সংকটকালে তার উপস্থিতি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সহায়ক হবে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. স ম আলী রেজা বলেন, দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসনে ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠনে তারেক রহমানের অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, চব্বিশোত্তর বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক রহমান একজন অপরিহার্য নেতা।

তরুণ ভোটারদের কাছে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলা এবং আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের যে অঙ্গীকার তিনি করেছেন, তা বাস্তবে কতটা প্রতিফলিত হবে—সেদিকেই এখন দেশবাসীর দৃষ্টি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের প্রতিটি পদক্ষেপই নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ কি পুরোনো বৃত্তেই ঘুরবে, নাকি সত্যিকারের এক নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করবে।

১০৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
রাজনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন