কুষ্টিয়ায় হাফেজিয়া মাদ্রাসায় হামলা, আহত ৪ শিক্ষার্থী
বৃহস্পতিবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৭ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর এলাকায় একটি হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসায় হামলার ঘটনায় চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় কথিত পীর তাছের আহমেদের দরবার শরিফের অনুসারীরা মাদ্রাসায় ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
স্থানীয়রা জানান, আগামী ৩০ তারিখ কথিত পীর তাছের আহমেদের দরবার শরিফে ওরুশ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। এতে প্রায় এক লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ওরুশকে কেন্দ্র করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দীর্ঘদিনের বিরোধ থেকেই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
দারুল উলুম হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসার সভাপতি রিপন বিশ্বাস জানান, বুধবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সায়েম নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ১০-১২ জন বহিরাগত মাদ্রাসার ভেতরে প্রবেশ করে। তারা লাঠি, হাতুড়িসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীরা হলো- জিহাদ (১০), মোশতাক (৮), আলিফ (৮) ও সিয়াম (৯)। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে কথিত পীর তাছের আহমেদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের ৬ জুন দরবার শরিফের খাদেম রাশেদকে মোবাইল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তাছের আহমেদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও তাছের আহমেদসহ কয়েকজন আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
এ ছাড়া ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর ওই মামলায় তাছের আহমেদের পরিবর্তে নাজিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করানো হয়। পরে বাদী ও তার আইনজীবীরা তাকে নকল আসামি হিসেবে শনাক্ত করলে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে কথিত পীর তাছের আহমেদের প্রধান খাদেম নাসির উদ্দিন সরদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “গতরাতে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।”
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, একটি ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। পরে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো নিজেরা বিষয়টি মিটমাট করে নেয়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
১৯৯ বার পড়া হয়েছে