ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪:২২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওডেসা বন্দরে রাশিয়ার শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নারী-শিশুসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর চালানো এই হামলায় আরও কমপক্ষে ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
ওডেসা অঞ্চলের বন্দর অবকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো এই আকস্মিক হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা নতুন করে বেড়েছে। ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সিয়ে কুলেবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওডেসা ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র এবং শস্য রপ্তানির জন্য বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলোর একটি। কুলেবার ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যায় রুশ বাহিনী ওডেসার পিভদেন্নি বন্দরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। হামলার তীব্রতায় ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয় এবং আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া একাধিকবার ওডেসার বন্দরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করলেও সাম্প্রতিক এই হামলাকে ইউক্রেনের রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর বড় ধরনের আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানান, কেবল বন্দর নয়—ওডেসার যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও অচল করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ওডেসার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস করা হয়। এতে ইউক্রেনের প্রধান নদীবন্দর রেনি এবং পার্শ্ববর্তী দেশ মলদোভা ও রোমানিয়ার সীমান্ত ক্রসিংয়ের সঙ্গে ওডেসার সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, যা সামরিক ও বেসামরিক রসদ সরবরাহে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শস্য ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে ইউক্রেন ওডেসার তিনটি প্রধান বন্দরের ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, ধারাবাহিক এসব হামলা ইউক্রেনের অর্থনীতিকে দুর্বল করার সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা। যুদ্ধের শুরু থেকেই কৃষ্ণ সাগরের আধিপত্য নিয়ে উত্তেজনার প্রভাব বিশ্ব খাদ্য বাজারেও পড়ছে। ইউক্রেন সরকার হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে।
১১২ বার পড়া হয়েছে