সর্বশেষ

জাতীয়সিঙ্গাপুরে শরিফ ওসমান হাদির জরুরি অস্ত্রোপচারের অনুমতি পরিবারের
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
জুলাইয়ের হত্যা মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
জিগাতলায় হোস্টেল থেকে এনসিপি'র জান্নাতের মরদেহ উদ্ধার
গুম-নির্যাতনের অভিযোগে ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ আজ
হাদি হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের পালাতে ব্যবহৃত গাড়ি ভাড়ার পেছনের তথ্য ফাঁস
হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশবাসীকে শান্ত থেকে দোয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
সারাদেশসারাদেশে জোরদার ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ–২’
ভেড়ামারা গ্রিড উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শুক্রবার বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে
নেত্রকোনা সীমান্ত এলাকায় বিদেশি মদ উদ্ধার
চিলমারীতে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে এনসিপির জেলা কমিটি ঘোষণা, নেতৃত্বে সাবেক বিএনপি নেতারা
আন্তর্জাতিকগাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬১ ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা
খেলাএমবাপের জোড়া গোলে তালাভেরার বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি জয়
সারাদেশ

বিজয়ের দুই দিন পর শত্রুমুক্ত হয় রাজবাড়ী

সাজিদ হোসেন, রাজবাড়ী
সাজিদ হোসেন, রাজবাড়ী

বৃহস্পতিবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৮:৫৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের অধিকাংশ এলাকা ১৬ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হলেও বিহারী ও মিলিশিয়া বাহিনীর শক্ত অবস্থানের কারণে রাজবাড়ী জেলা স্বাধীন হয় দুই দিন পর, ১৮ ডিসেম্বর। স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে রাজবাড়ী ছিল অবাঙালি বিহারীদের একটি শক্ত ঘাঁটি।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি গ্রুপ ভারত থেকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে রাজবাড়ীতে প্রবেশ করে। সে মাসের শুরুতেই তারা পাকবাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করতে একাধিক সেতু উড়িয়ে দেয় এবং সড়ক ভেঙে দেয়। এরপর পর্যায়ক্রমে রাজাকার বাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্প দখল করতে থাকে মুক্তিযোদ্ধারা।

২২ নভেম্বর একটি অপারেশন চলাকালে মুক্তিযোদ্ধা খুশী শহীদ হন। পাক সেনা ও তাদের সহযোগীরা তাঁর মরদেহ ট্রাকের সঙ্গে বেঁধে শহরজুড়ে ঘুরিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও উল্লাস করে। এর পরপরই স্থানীয় বিহারী ও রাজাকাররা বাঙালিদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে মেতে ওঠে।

এই পরিস্থিতিতে রাজবাড়ীতে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা যৌথ কমান্ড গঠন করে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর সব ইউনিট ঘিরে ফেলেন। পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে পাকবাহিনী ঢাকার দিকে সরে গেলেও প্রায় পাঁচ হাজার সশস্ত্র বিহারীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র যুদ্ধ চলতে থাকে।

এদিকে বিহারীদের প্রধান সৈয়দ খামার ঈশ্বরদী ও সৈয়দপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষিত প্রায় ১০ হাজার বিহারীকে রাজবাড়ীর নিউ কলোনী, আটাশ কলোনী ও লোকোসেড কলোনীতে জড়ো করে একটি মিনি ক্যান্টনমেন্ট গড়ে তোলে।

এই সংকটময় সময়ে যশোর থেকে আকবর হোসেনের নেতৃত্বে ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা রাজবাড়ীতে এসে সম্মুখযুদ্ধে যোগ দেন। পাশাপাশি মাগুড়ার ক্যাপ্টেন জামান বাহিনী, মাচপাড়ার মতিন বাহিনী, পাংশার মালেক ও কমান্ডার সাচ্চু বাহিনী এবং গোয়ালন্দ মহকুমা কমান্ডার শহীদুন্নবী আলমের নেতৃত্বাধীন বাহিনী সম্মিলিতভাবে শহরের চারদিক থেকে বিহারী ঘাঁটিগুলোর ওপর সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু করে।

১৪ ডিসেম্বর থেকে টানা আক্রমণ ও রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে শহীদ হন রফিক, শফিক, সাদিক, শুকুর, দিয়ানত, জয়নাল মোল্লা, আরশেদ আলী, জাহাঙ্গীরসহ অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অবশেষে ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে রাজবাড়ী শত্রুমুক্ত হয়।

১৯৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন