এয়ারপোর্টের হিরো কে এই ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খান
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১:২৪ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
নিজ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে সাহসী মানবিক ভূমিকা, শৃঙ্খলা আর দ্রুত সিদ্ধান্ত—সব মিলিয়ে হঠাৎ করেই আলোচনায় উঠে এসেছেন ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে এখন অনেকে ডাকছেন ‘এয়ারপোর্টের হিরো’ নামে। কিন্তু কে এই নওশাদ খান, আর কী এমন করেছেন তিনি—তা জানতে আগ্রহ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এয়ারপোর্টে) ঘটে যাওয়া এক অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে সামনে আসেন ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খান। যাত্রীদের ভিড়, বিশৃঙ্খলা কিংবা জরুরি কোনো সংকটময় মুহূর্তে যখন অনেকেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন, ঠিক তখনই দৃঢ় নেতৃত্ব আর দ্রুত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি ছিল এমন, যেখানে সামান্য ভুল সিদ্ধান্ত বড় ধরনের বিপর্যয়ের কারণ হতে পারত। কিন্তু নওশাদ খান ছিলেন শান্ত, আত্মবিশ্বাসী এবং দায়িত্বশীল। তিনি একদিকে যেমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করেন, অন্যদিকে সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বস্তির দিকেও বিশেষ নজর দেন।
শুধু প্রশাসনিক দৃঢ়তাই নয়, নওশাদ খানের আচরণে ফুটে ওঠে মানবিকতার স্পষ্ট ছাপ। অসুস্থ যাত্রী, ভীত শিশু কিংবা বিপদে পড়া বয়স্কদের প্রতি তার সহানুভূতিশীল মনোভাব অনেকের মন ছুঁয়ে যায়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও অভিজ্ঞতার বর্ণনায় দেখা যায়, তিনি নিজে এগিয়ে গিয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন, কথা বলেছেন ধৈর্যের সঙ্গে।
একজন যাত্রী জানান, ওই মুহূর্তে ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খান শুধু একজন কর্মকর্তা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন ভরসার মানুষ।
সাধারণত ম্যাজিস্ট্রেটদের কাজ আদালতকেন্দ্রিক বা প্রশাসনিক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এয়ারপোর্টের ওই ঘটনায় নওশাদ খান প্রমাণ করেছেন, প্রকৃত দায়িত্ববোধ মানে কেবল ফাইল বা আদেশে সীমাবদ্ধ থাকা নয়—প্রয়োজনে মাঠে নেমে মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়াই আসল কর্তব্য।
এই কারণেই নেটিজেনরা তাকে ‘এয়ারপোর্টের হিরো’ নামে অভিহিত করছেন। অনেকেই বলছেন, এমন কর্মকর্তারাই প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ান।
ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খান একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, যিনি সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শৃঙ্খলা, আইন এবং জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। সহকর্মীদের মতে, তিনি পেশাগত জীবনে সৎ, কর্মনিষ্ঠ এবং দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা হিসেবেই পরিচিত।
ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে প্রশংসার ঝড় ওঠে। অনেকেই লিখেছেন, দেশে এখনো দায়িত্বশীল ও সাহসী কর্মকর্তা আছেন—নওশাদ খান তারই উদাহরণ। কেউ কেউ আবার তাকে রাষ্ট্রের ‘নীরব নায়ক’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খানের এই ভূমিকা আবারও মনে করিয়ে দেয়—সঠিক মানুষ সঠিক জায়গায় থাকলে যেকোনো সংকটই সামাল দেওয়া সম্ভব। প্রশাসনের মানবিক ও দায়িত্বশীল চেহারার প্রতীক হিসেবে ‘এয়ারপোর্টের হিরো’ নওশাদ খান ইতোমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের হৃদয়ে।
১২৯ বার পড়া হয়েছে