আপাতত ঢাকাতেই চলবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা
মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:৫৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ভ্রমণের উপযোগী নয় বলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
বিশেষ করে হৃদ্যন্ত্রের জটিলতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে থাকায় বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। ডায়াবেটিস, কিডনি ও ফুসফুস–সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাও অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিনই তাঁকে ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছে।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বিএনপি বা পরিবারের পক্ষ থেকে লন্ডনে নেওয়ার বিষয়ে নতুন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কাতার আমিরের পক্ষ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর যে প্রস্তুতি চলছিল, সেটিও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ও চিকিৎসক ডা. জুবাইদা রহমান নিয়মিত এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসাসেবা তদারকি করছেন। গতকালও বিকেলে তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, মেডিকেল বোর্ডের সদস্য হিসেবে ডা. জুবাইদা চিকিৎসা–দলটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে খালেদা জিয়ার সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করছেন।
কাতার আমিরের উদ্যোগে জার্মানভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছিল, সেটি ঢাকায় অবতরণের অনুমতি পেলেও নির্ধারিত সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। বেবিচকের সূত্র জানায়, গত শনিবার করা আবেদনে মঙ্গলবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় এসে পরদিন লন্ডনের উদ্দেশে উড্ডয়নের কথা ছিল। তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বিমানটি এখনই আসবে না।
চিকিৎসক দলের সদস্যরা খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও ‘গুরুতর’ বলে উল্লেখ করছেন। তাঁদের মতে, আগামী কয়েক দিন চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি কার্যক্ষমতা স্থিতিশীল না হলে সামগ্রিক শারীরিক অবস্থায় স্থায়ী উন্নতি আশা করা কঠিন।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর তাঁকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।
১২৬ বার পড়া হয়েছে