সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ৪:১৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
গাজায় ঘোষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও পশ্চিম তীর, সিরিয়া ও লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকায় পুরো মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা বাড়ছে।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা সোমবার জানিয়েছে, গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর যুদ্ধবিরতি কিছুটা চাপ কমালেও ইসরায়েলের হামলা থামেনি। পাশাপাশি দেশটি প্রতিবেশী দেশগুলোতে সামরিক অভিযান চালিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নীরবতা এই আঞ্চলিক আগ্রাসনকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক সফরের পরও ওয়াশিংটন প্রধানত গাজার পরিস্থিতিতে মনোযোগ দিচ্ছে, অন্য অঞ্চলের ওপর চাপ প্রয়োগে আগ্রহী নয়।

পশ্চিম তীর: দমন অভিযান ও গ্রেপ্তার
ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান জোরদার করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এই অঞ্চলে ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি সৈন্য ও বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের জলপাই সংগ্রহে বাধা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার ও হেনস্তা চালাচ্ছে।

ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করছেন, এতে “ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিপজ্জনক ধারণা” ঠেকানো সম্ভব।

সিরিয়া: সীমান্ত লঙ্ঘন
সিরিয়ার দক্ষিণ সীমান্তে ইসরায়েলের হামলা বেড়েছে। কুনেইত্রা প্রদেশের আল-রাজানিয়া ও সাইদা আল-হানুত গ্রামে ইসরায়েলি বাহিনী সাময়িক চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।

জাতিসংঘে সিরিয়ার প্রতিনিধি ইব্রাহিম ওলাবি বলেছেন, ইসরায়েলকে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে এবং দখলকৃত গোলান মালভূমি থেকে সরে যেতে হবে।

লেবানন: যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন
দক্ষিণ লেবাননে নিয়মিত বিমান ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী ইউএনআইএফআইএল জানিয়েছে, তাদের টহল দলের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

গত রোববার ইসরায়েল বালবাকের নবি চিত ও দক্ষিণ লেবাননের নাকুরা এলাকায় দুইজনকে হত্যা করেছে। যদিও ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল, তারপরও ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হয়নি।

গাজা: যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ ও মানবিক সংকট
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইসরায়েল সফরের সময় বলেছেন, গাজার যুদ্ধবিরতি “প্রত্যাশার চেয়ে ভালোভাবে” চলছে। কিন্তু বাস্তবে ইসরায়েল এখনও হামলা চালাচ্ছে।

শনিবার রাতে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ড্রোন হামলায় একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ত্রাণ ও চিকিৎসা সরবরাহেও ইসরায়েল বাধা দিচ্ছে, এমনকি গাজার রোগীদের সীমান্ত দিয়ে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতা এখন আরও জরুরি হয়ে উঠেছে।

১২৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন