রোববার বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ২:১৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে আগামীকাল (রোববার) দুপুর নাগাদ।
তবে আশার খবর হলো, এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলে পড়বে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ১,৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ১,২৫৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ১,৩০৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১,২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে রোববার দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশে তেমন অনুভূত হবে না। “সমুদ্রপথে বড় কোনো প্রভাব না পড়লেও দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে,” বলেন তিনি।
বর্তমানে নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নিম্নচাপটি পশ্চিম বা উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘মন্থার’, যা থাই ভাষার শব্দ; অর্থ ‘সুন্দর ফুল’। নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড।
নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সতর্কভাবে চলাচল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি সোমবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাদা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌসুমের শেষভাগে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘূর্ণিঝড়গুলো আরও ঘন ঘন ও অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। তাই উপকূলীয় অঞ্চল ও জেলেদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সাধারণত বছরে দুটি সময় ঘূর্ণিঝড়প্রবণ থাকে—এপ্রিল থেকে মে (মৌসুমি বায়ুর আগে) এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বর (মৌসুমি বায়ুর পর)। বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় ঘূর্ণিঝড়গুলো সাধারণত নভেম্বর মাসেই হয়ে থাকে।
১১৬ বার পড়া হয়েছে