সর্বশেষ

জাতীয়হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশবাসীকে শান্ত থেকে দোয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ফেসবুকে ছড়ানো তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই, হাদির অবস্থা সংকটজনক : চিকিৎসক
হাদি হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামির বাবা–মা গ্রেফতার
নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশীদের নসিহত গ্রহণযোগ্য নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা ইস্যুতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তলব
বিদেশগমন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও হয়রানি কমেছে: আসিফ নজরুল
অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ শুরু হচ্ছে ২০ ফেব্রুয়ারি
সারাদেশগাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার
ঈশ্বরদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বিএনপি নেতা নিহত
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী রেজাউল গ্রেপ্তার
হাদির ওপর হামলায় ‘ব্যবহৃত’ পিস্তলসহ গুলি নরসিংদী থেকে উদ্ধার
আন্তর্জাতিকফিলিস্তিনিসহ ও ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
খেলানিজের সর্বোচ্চ মূল্যে দল পেয়ে আইপিএল নিলামে ইতিহাস গড়লেন মুস্তাফিজ
জাতীয়

অবহেলা, বৈষম্য ও বঞ্চনায় শিক্ষকরা আজ রাজপথে : সংকটে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২:৪৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
আজ ৫ অক্টোবর, বিশ্ব শিক্ষক দিবস। অথচ দেশের শিক্ষক সমাজ এই দিবসে উদযাপনের বদলে বঞ্চনা ও অবহেলার চিত্র তুলে ধরে প্রতিবাদ জানাতে রাজপথে।

বছরের পর বছর ধরে ন্যায্য বেতন, পেনশন ও সম্মানজনক মর্যাদা থেকে বঞ্চিত শিক্ষকরা বলছেন— তাদের অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে, যা গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে।

‘শিক্ষকতা পেশা: মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি’ প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালিত হলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। দেশে এমন হাজারো শিক্ষক আছেন, যারা বিনা বেতনে ক্লাস নিচ্ছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পান দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম বেতন। একজন প্রাথমিক শিক্ষক মাসে গড়ে পান মাত্র ১৭০ ডলার, যেখানে মালদ্বীপে এই অঙ্ক ৯৫০ ডলারের বেশি। এমনকি পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং মিয়ানমারেও শিক্ষকদের বেতন বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।

বর্তমানে দেশে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। তারা ১৩তম গ্রেডে বেতন পান—যেখানে অষ্টম শ্রেণি পাস একজন সরকারি ড্রাইভারের বেতন গ্রেড ১২তম। এ বৈষম্য থেকেই শিক্ষকরা নিয়মিত আন্দোলনে নামছেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আরও করুণ পরিস্থিতির শিকার। মাসিক ১২-১৩ হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করে তারা অবসরে গিয়ে পেনশনের টাকা পেতেও হয়রানির শিকার হন। অন্যদিকে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকও বেতন পান প্রাথমিক শিক্ষকদের চেয়েও কম।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মনজুর আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে শিক্ষাখাতে কার্যকর কোনো সংস্কার না হওয়ায় আজ এ অবস্থা। শিক্ষা খাত এখন রাজনৈতিক ব্যর্থতার বড় উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাতীয়করণ, বেতন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষকরা আজ শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন। তাদের দাবি— শিক্ষকদের ন্যায্য মর্যাদা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয়।

২৪৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন