ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয় তিন দেশ। দীর্ঘদিন ধরে চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এ পদক্ষেপকে একটি কূটনৈতিক মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যদি ইসরায়েল সেপ্টেম্বরের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হয় এবং একটি টেকসই শান্তিচুক্তি ও দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হয়, তবে যুক্তরাজ্য তাদের নীতিগত অবস্থান পরিবর্তন করবে।
এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। এছাড়া এর আগেই ইউরোপের কয়েকটি দেশ—স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পর্তুগাল ও ফ্রান্সও একই ধরনের সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছে। বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তবে এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একে "সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করার শামিল" বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচনায় যোগ দিয়েছেন ইসরায়েলি জিম্মি পরিবারের সদস্য ও যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ দলের কিছু নেতা।
অন্যদিকে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান মানবিক সংকট এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বেআইনি সম্প্রসারণ এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। তারা বলছে, "গাজায় অনাহার, সহিংসতা ও মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র আর সহ্য করা যাচ্ছে না।"
জাতিসংঘের এক তদন্ত কমিশনের মতে, গাজায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে। যদিও ইসরায়েল ওই প্রতিবেদনকে "বিকৃত ও মিথ্যা" বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, “ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি আমি সবসময়ই শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করেছি। এখন যখন এই প্রক্রিয়াটিই হুমকির মুখে, তখন পদক্ষেপ নেওয়াটা সময়ের দাবি।”
এ মাসের শুরুতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানান। বৈঠকে দুই নেতা একমত হন, ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি প্রশাসনে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
১১৭ বার পড়া হয়েছে