শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য : মাহমুদুর রহমান ট্রাইব্যুনালে

সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৬:০৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে হাজির হয়েছেন ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
মামলাটি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত কথিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত।
মামলার প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, এই মামলায় আজ দুইজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের কথা রয়েছে— মাহমুদুর রহমান এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নাহিদ। পূর্বে ১১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য থাকলেও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা সেদিন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হতে পারেননি। এরপর প্রসিকিউশনের সময় প্রার্থনার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন নির্ধারণ করেন ১৫ সেপ্টেম্বর।
প্রসিকিউটর তামিম বলেন, মামলার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে এবং ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়কালে সংগঠিত অপরাধের ধারাবাহিকতা তুলে ধরতে আজকের সাক্ষীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ মামলায় মোট ৮১ জন সাক্ষীর তালিকা দাখিল করা হয়েছে, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মামলার যুক্তি দাঁড় করাতে প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে চায় যে অপরাধগুলো বিচ্ছিন্ন বা ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে ঘটেনি, বরং এটি ছিল একটি ‘ওয়াইড স্প্রেড এবং সিস্টেমেটিক’ পরিকল্পনার অংশ— অর্থাৎ দেশজুড়ে একই ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতনের চিত্র।
মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো শুধু ২০২৪ সালের জুলাই মাসেই সংঘটিত হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তার ভাষায়, “এই অপরাধের সূত্রপাত ২০০৯ সাল থেকেই ধাপে ধাপে ঘটে আসছিল এবং তা চূড়ান্ত রূপ নেয় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতায়।”
গত ১০ জুলাই এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামুন ইতোমধ্যে দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও কামাল বর্তমানে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন, তবে তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে মো. আমির হোসেন দায়িত্ব পালন করছেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন এবং পরবর্তী রায় পর্বে যাবে বিচারিক কার্যক্রম।
১০৮ বার পড়া হয়েছে