নেপালে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন, কারফিউ প্রত্যাহার

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কয়েকদিনের সহিংসতা, বিক্ষোভ ও অস্থিরতার পর নেপালে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। আজ শনিবার দেশজুড়ে জারি থাকা কারফিউ প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে দোকানপাট, বাজার, শপিং মল খুলতে শুরু করেছে, রাস্তায় ফিরেছে যানচলাচল।
দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, এখন আর কোথাও কারফিউ বা চলাচলে কোনো বিধিনিষেধ নেই।
এর আগে, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ‘শীতল নিবাস’-এ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। তাকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেল। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন—২০২৬ সালের ৫ মার্চ।
সাম্প্রতিক উত্তাল বিক্ষোভের পেছনে ছিল দুর্নীতির সংস্কৃতির অবসান ও নিবন্ধনহীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া এ আন্দোলন দ্রুতই সহিংস রূপ নেয়। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই আন্দোলনে এ পর্যন্ত ৫১ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য, ২১ বিক্ষোভকারী, ১৮ সাধারণ নাগরিক এবং ৯ জন বন্দি।
অবস্থা বেগতিক দেখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি ও তার মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করে আত্মগোপনে যান। এরপর থেকেই চলছিল রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, যা আপাতত কাটিয়ে উঠেছে দেশটি।
বিক্ষোভ চলাকালীন সময় বিভিন্ন সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় বিক্ষোভকারীরা। এসব এলাকায় এখন চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এদিকে, আল-জাজিরা জানিয়েছে, সহিংসতার সুযোগে দেশটির বিভিন্ন কারাগার থেকে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ বন্দি পালিয়ে যায়। এর মধ্যে এক হাজার জনকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা গেলেও বাকিরা এখনও পলাতক।
নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে নেপাল এখন আবার স্থিতিশীলতার পথে ফিরছে বলে আশা করা হচ্ছে।
১০৬ বার পড়া হয়েছে