ফরিদপুরে রেলপথ অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীরা

বৃহস্পতিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৯:৫১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দফায় টানা তৃতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে গণঅন্দোলন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এবার রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা, ফলে বন্ধ হয়ে গেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল। এর আগে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধের কারণে যান চলাচল পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়ে।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি রেলগেটে গাছের গুঁড়ি ফেলে রেলপথ অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি মুকসুদপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়ে। বাধ্য হয়ে ট্রেনটির ইঞ্জিন রিভার্স করে বিকল্প রুটে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কাশিয়ানী জংশন হয়ে বোয়ালমারী ও কালুখালী দিয়ে ট্রেনটি রাজবাড়ী কিংবা যমুনা সেতু হয়ে ঢাকায় যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া, বেনাপোলগামী রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও একই পথে আসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ভাঙ্গা রেলগেটের গেটকিপার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “সকাল সাড়ে ৭টা থেকে স্থানীয়রা গাছ ফেলে রেলগেট বন্ধ করে রেখেছে। এরপর থেকে কোনো ট্রেন চলাচল করেনি।”
ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের সহকারী ম্যানেজার মো. সাকিব আকন্দ জানান, “জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ভাঙ্গা পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু অবরোধের কারণে সেটি মুকসুদপুরেই আটকা পড়েছে।”
ভাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ শাবুর হোসেন বলেন, “পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত রেল চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন একটি গেজেট প্রকাশ করে ফরিদপুর-৪ আসনের আওতাধীন ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে সংযুক্ত করে। এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে টানা কয়েক দিন ধরে ভাঙ্গায় মহাসড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, হাইকোর্টে রিট এবং সর্বশেষ রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
এ ঘটনায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২১ জেলার রাজধানীর সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো যাত্রী।
১১১ বার পড়া হয়েছে