ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত জোটের ২৩ পদে বিজয়ী যারা

বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বড় ধরনের সাফল্য পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী, ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টি পদেই বিজয়ী হয়েছে এই জোট।
ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ১২টি সম্পাদকীয় এবং ১১টি সদস্য পদে জয় পেয়েছেন শিবির-সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি পাঁচটি পদে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র ও অন্যান্য প্রার্থীরা।
ডাকসুর তিন শীর্ষপদেই বিজয় নিশ্চিত করেছেন ছাত্রশিবির-সমর্থিতরা—সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছেন আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয় পেয়েছেন এস এম ফরহাদ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হয়েছেন মহিউদ্দীন খান।
অন্য সম্পাদকীয় পদে বিজয়ীরা হলেন:
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক: ফাতিমা তাসনিম জুমা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: ইকবাল হায়দার
কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক: উম্মে ছালমা
আন্তর্জাতিক সম্পাদক: জসীমউদ্দিন খান
ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক: মাজহারুল ইসলাম
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক: এম এম আল মিনহাজ
মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক: মো. জাকারিয়া
ক্রীড়া সম্পাদক: আরমান হোসেন
ছাত্র পরিবহন সম্পাদক: আসিফ আব্দুল্লাহ
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে জয়লাভ করেছেন:
সমাজসেবা সম্পাদক: যুবাইর বিন নেছারী
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ
গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক: সানজিদা আহমেদ তন্বি
১৩টি সদস্য পদের মধ্যে ১১টি দখলে নেয় শিবির-সমর্থিত প্রার্থীরা। অন্যদিকে, বামধারার ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে হেমা চাকমা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়া সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন।
সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন:
সাবিকুন নাহার তামান্না (১০,০৮৪), সর্ব মিত্র চাকমা (৮৯৮৮), ইমরান হোসাইন (৬২৫৬), আফসানা আক্তার (৫৭৪৭), রায়হান উদ্দীন (৫০৮২), মো. মিফতাউল হোসাইন আল মারুফ (৫০১৫), তাজিনুর রহমান (৫৬৯০), আনাস ইবনে মুনীর (৫১৪০), হেমা চাকমা (৪৯০৮), বেলাল হোসাইন অপু (৪৮৬৫), মো. রাইসুল ইসলাম (৪৫৩৫), মো. শাহীনুর রহমান (৪৩৯০) এবং উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়া (৪২০৯)।
এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ডাকসুতে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্রার্থীদের এমন নিরঙ্কুশ বিজয় শিক্ষাঙ্গনে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
১১২ বার পড়া হয়েছে