সর্বশেষ

জাতীয়হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশবাসীকে শান্ত থেকে দোয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ফেসবুকে ছড়ানো তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই, হাদির অবস্থা সংকটজনক : চিকিৎসক
হাদি হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামির বাবা–মা গ্রেফতার
নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশীদের নসিহত গ্রহণযোগ্য নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা ইস্যুতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তলব
বিদেশগমন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও হয়রানি কমেছে: আসিফ নজরুল
অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ শুরু হচ্ছে ২০ ফেব্রুয়ারি
সারাদেশগাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার
ঈশ্বরদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বিএনপি নেতা নিহত
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী রেজাউল গ্রেপ্তার
হাদির ওপর হামলায় ‘ব্যবহৃত’ পিস্তলসহ গুলি নরসিংদী থেকে উদ্ধার
আন্তর্জাতিকফিলিস্তিনিসহ ও ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
খেলানিজের সর্বোচ্চ মূল্যে দল পেয়ে আইপিএল নিলামে ইতিহাস গড়লেন মুস্তাফিজ
সারাদেশ

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, লালমনিরহাটে তৃতীয় দফা বন্যা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাট প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার , ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ৪:৪৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে আবারও বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। এর ফলে জেলায় তৃতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, গত বুধবার সকাল থেকে নদীর পানি ধীরে ধীরে বেড়ে প্রথমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছায়। এরপর তা কিছুটা কমলেও বৃহস্পতিবার সকালে আবারও তা বেড়ে যায়।

বন্যার কারণে জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চর ও নিম্নাঞ্চলের অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। ডুবে গেছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলের মাঠ, ভেঙে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

পাউবো জানায়, তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণে ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে আগাম দুই দিন ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় লালমনিরহাট ছাড়াও নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, বন্যা সতর্কতা কেন্দ্রের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি এখনও বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টেও পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে এটি তিস্তা নদীর তৃতীয় দফা বন্যা। প্রথম দফায় ২৯ জুলাই ও দ্বিতীয় দফায় ৩ আগস্ট পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। এবার ১৩ আগস্ট থেকে পানি আবারও বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বারবার বন্যায় কৃষির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ধান, পাট, মাছ—সব কিছু বারবার নষ্ট হচ্ছে। গবাদি পশু ও পরিবারের সদস্যদের উঁচু জায়গায় নিতে হচ্ছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও পানির সংকট।

তাদের দাবি, বারবার ত্রাণ বিতরণ না করে সরকারকে স্থায়ী সমাধানের দিকে যেতে হবে। "তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া মুক্তি নেই," বলেন একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, “নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে, এতে স্বল্পমেয়াদি বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

৪৪৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন