মালয়েশিয়ায় হালাল শিল্প নিয়ে বৈঠক করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ৪:৫২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
মালয়েশিয়ার হালাল শিল্প কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে হালাল শিল্পে বাংলাদেশের সম্ভাবনা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের হালাল বিষয়ক সমন্বয়কারী দাতিন পদুকা হাজাহ হাকিমাহ বিনতি মোহাম্মদ ইউসুফ। উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট বিভাগের (জাকিম) মহাপরিচালক সিরাজুদ্দিন বিন সুহাইমি এবং হালাল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের (এইচডিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাইরোল আরিফাইন সাহারি।
বৈঠকে জানানো হয়, বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজারের বর্তমান আকার ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মালয়েশিয়া ইতোমধ্যেই হালাল শিল্পে অন্যতম নেতৃত্বদানকারী দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যার রয়েছে অন্তত ১৪টি হালাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও হালাল শিল্পে কাঙ্ক্ষিত অংশগ্রহণ করতে পারেনি। বর্তমানে কেবল ইসলামিক ফাউন্ডেশন হালাল সনদ প্রদান করে এবং এখন পর্যন্ত মাত্র ১২৪টি প্রতিষ্ঠান এ সনদ লাভ করেছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, “আমরা হালাল পণ্যের শিল্প গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এর জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদা চিহ্নিত করতে মালয়েশিয়ার সহায়তা কামনা করছি।”
বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “এই বৈঠকটি যেন হালাল পণ্যের ওপর একটি ক্লাস। ধন্যবাদ আপনাদের জ্ঞানের জন্য। চলুন, আমরা একসাথে এগিয়ে যাই।”
মালয়েশিয়ার জাকিম মহাপরিচালক সিরাজুদ্দিন বিন সুহাইমি জানান, বাংলাদেশের হালাল শিল্পের সম্ভাবনা মূল্যায়নের জন্য মালয়েশিয়া শিগগিরই একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ।
১২৫ বার পড়া হয়েছে