সারাদেশ

শুধু পরিবারেই নয় পুরো এলাকায় শোকের মাতন

আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া
আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া

বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫ ১২:৩৩ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার একই পরিবারের সাতজনসহ মোট আটজন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বড়াইগ্রামের তরমুজ পাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবড়ীয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ ও গাংণী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামে। নিহতরা হলেন—জাহিদুল ইসলাম (৬৫), তার স্ত্রী শেলী বেগম (৬০), ছোট বোন ইতি খাতুন (৬০), চাচাতো বোন আনোয়ারা খাতুন (৬০), চাচাতো ভাবি আনোয়ারা (৭৬), শাশুড়ি আনজুমান খাতুন (৭৫), শ্যালিকা শিমা খাতুন (৩৫) এবং মাইক্রোবাসচালক শাহাবুদ্দিন (৪২)।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কড্ডার মোড় এলাকায় জাহিদুলের ছেলের বিয়ে হয়েছে। শারীরিক অসুস্থ হওয়ায় ছেলে বউ-এর ছোট্ট একটি অপারেশন হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ছেলে বৌকে দেখতে জাহিদুল ইসলাম পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে সকাল আটটার দিকে বাড়ী থেকে রওনা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাটোর বড়াই গ্রাম এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালু ভর্তি ট্রাক মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই ছয়জন মারা যান। শিমা খাতুন ও ড্রাইভার শাহাবুদ্দিনকে আহত অবস্থায় প্রথমে নাটোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তারা রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন। পরে রাজশাহী পৌঁছালে সেখানে তারা মারা যান। এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের মাতন বইছে।

জাহিদুল ইসলামের চাচাতো ভাই মানজারুল ইসলাম খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "এক্সিডেন্টের খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়েছে, আমরা তাদের আশার অপেক্ষায় ছিলাম। খবর পেয়ে আমরাও হাসপাতালে ছুটে যাই, কিন্তু অধিকাংশরাই ঘটনাস্থলে প্রাণ হারিয়েছেন। পুরো গ্রামে এখন শোকের মাতম।"


বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, "একটি মাইক্রোবাস নাটোর থেকে ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে তরমুজ পাম্প এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে স্পটেই একই পরিবারের ছনজন মারা যান। আহত অবস্থায় দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানে দুইজন মারা যান। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।"


দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, "নিহতরা আমাদের থানার এলাকার বাসিন্দা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিহতদের বাড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার তদন্ত হাইওয়ে পুলিশ করছে।"

১৭৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন