জাতীয়

মিরপুরে জমি নিয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণা চক্রের ৩ জন গ্রেফতার 

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫ ১:২৪ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
রাজধানীর মিরপুরে জমি সংক্রান্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে পল্লবী থানা পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন—জয়নাল আবেদীন, জালাল ও কাউসার। সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে আসামিদের আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে।

মামলার বাদী মিরপুরের বাসিন্দা মোখসিন উদ্দিন অভিযোগ করেন, একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জমি ও বিভিন্ন ব্যক্তির মালিকানাধীন জমি জাল দলিল তৈরি করে বিক্রির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে আসছে। তিনি দাবি করেন, এই চক্রের মূল হোতা ইউসূফ সাঈদ, যিনি জয়নাল, জালাল ও কাউসারকে সঙ্গে নিয়ে তার (মোখসিন উদ্দিনের) কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

বাদীর ভাষ্য অনুযায়ী, বায়না দলিলের মাধ্যমে প্রতারকরা প্রথমে জমি বিক্রির আশ্বাস দেন। পরে দেখা যায়, জমির কাগজপত্র সম্পূর্ণ জাল এবং জমির প্রকৃত মালিকানা নেই। টাকা ফেরত চাইলে বাদী ও তার পরিবার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা হামলা ও হুমকির শিকার হন বলেও অভিযোগ ওঠে।

পিবিআই-এর তদন্তে প্রতারণার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী জানান, তদন্তে প্রতারণার মাধ্যমে ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, প্রাণনাশের হুমকি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। এ ঘটনায় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৫০৬/১০৯ ধারায় মামলার যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে বলে জানান তিনি।

পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

এদিকে, গ্রেফতার হওয়া জালাল ও কাউসারের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান-সংশ্লিষ্ট একটি মামলাও রয়েছে। সেই মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, কাউসার মিরপুর ২-এর ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করতেন। অন্যদিকে, জালাল দীর্ঘদিন ধরে মূল অভিযুক্ত ইউসূফ সাঈদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।

উল্লেখ্য, এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন সদস্য আবুল বাশার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে চক্রটির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলেছিলেন। তার পরিবার মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের এ ব্লকের ১৫ নম্বর বাড়িতে বসবাস করতেন। সেই সময় অভিযোগ করা হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পুলিশ এখনো পর্যন্ত চক্রের মূল হোতা ইউসূফ সাঈদকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

১২১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন