সর্বশেষ

জাতীয়সিঙ্গাপুরে শরিফ ওসমান হাদির জরুরি অস্ত্রোপচারের অনুমতি পরিবারের
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
জুলাইয়ের হত্যা মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
জিগাতলায় হোস্টেল থেকে এনসিপি'র জান্নাতের মরদেহ উদ্ধার
গুম-নির্যাতনের অভিযোগে ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ আজ
হাদি হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের পালাতে ব্যবহৃত গাড়ি ভাড়ার পেছনের তথ্য ফাঁস
হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশবাসীকে শান্ত থেকে দোয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
সারাদেশসারাদেশে জোরদার ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ–২’
ভেড়ামারা গ্রিড উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শুক্রবার বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে
নেত্রকোনা সীমান্ত এলাকায় বিদেশি মদ উদ্ধার
চিলমারীতে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে এনসিপির জেলা কমিটি ঘোষণা, নেতৃত্বে সাবেক বিএনপি নেতারা
সিরাজগঞ্জে বিএনপির তিন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
এনায়েতপুরে জামিয়াতুল হাসানাইন'র দুই দিনব্যাপী মহাসমাবেশ শুরু শুক্রবার
আন্তর্জাতিকগাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬১ ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা
খেলাএমবাপের জোড়া গোলে তালাভেরার বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি জয়
শিক্ষা

বাবার লাশ রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া মারিয়ার এসএসসি পাস

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার , ১০ জুলাই, ২০২৫ ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
পরীক্ষার দিন ভোরে হারিয়েছেন প্রিয় বাবাকে। হৃদয়বিদারক সেই মুহূর্তেও নিজেকে সামলে নিয়েছেন মারিয়া আক্তার।

বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে যান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফলে জানা গেছে, মারিয়া পাস করেছেন।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রামের শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে তিনি পেয়েছেন জিপিএ ৩.৮৩। তবে প্রত্যাশামতো ফল না হওয়ায় কান্না থামাতে পারেননি সাহসী এই ছাত্রী।

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ছিল তার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। কিন্তু সেদিনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার বাবা মামুন হাওলাদার। বাবার মৃত্যুশোক নিয়েই পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হন মারিয়া।

মারিয়া জানান, “বাবা সবসময় চাইতেন আমি মানুষ হই। তার স্বপ্ন ছিল আমি ডাক্তার হবো। বাবার মুখটা মনে করে চোখের পানি নিয়েই পরীক্ষায় বসেছিলাম। কিন্তু যেভাবে পড়েছিলাম, সেভাবে ফল হয়নি। কষ্ট হচ্ছে।”

তার ছোট চাচা অলিউল্লাহ বলেন, “ভাই মারা যাওয়ার পর ও একেবারে ভেঙে পড়েছিল। আমরা সাহস দিয়েছি, পাশে থেকেছি। আল্লাহর রহমতে সে পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছে। আমরা চাচ্ছি, এই ফলাফল নিয়ে ঢাকার ভালো কোনো কলেজে ওকে ভর্তি করাতে। আশা করছি, ইন্টারে সে ভালো ফল করবে।”

ভবিষ্যৎ নিয়ে মারিয়া বলেন, “আমি কোথায় ভর্তি হবো, সেটা চাচা সিদ্ধান্ত নেবেন।”

কেবল একটি পরীক্ষাই নয়, বাবার স্বপ্নপূরণের লড়াইও বয়ে চলেছেন মারিয়া আক্তার। নিজের না-পাওয়া ফলের আক্ষেপের চেয়ে বেশি ভাবছেন বাবার মুখ। তার সেই দৃঢ়তা ও আত্মত্যাগ অনেকের কাছেই হয়ে উঠেছে অনুকরণীয়।

৩৬৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
শিক্ষা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন