সর্বশেষ

জাতীয়টঙ্গীতে শুরায়ী নেজামের আয়োজনে পাঁচদিনের জোড় ইজতেমা শুরু
সারাদেশত্রিশালে বন্ধুকে কুড়াল দিয়ে হত্যা, থানায় আত্মসমর্পণ
ধামরাইয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা বাসে অগ্নিকাণ্ড
হিমালয়ের ঠান্ডা হাওয়ায় জমে উঠছে তেঁতুলিয়া, তাপমাত্রা ১৩.২ ডিগ্রি
আন্তর্জাতিকহংকংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ৯৪ জনের মৃত্যু, উদ্ধার অভিযান শেষ পর্যায়ে
খেলাসিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বড় হার, তবুও আশাবাদী লিটন দাস
সারাদেশ

কুয়াকাটায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগে বিপাকে গ্রাহকরা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫ ৭:১৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা জোনাল বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে ‘মনগড়া বিল’ তৈরির অভিযোগে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা।

দীর্ঘ দুই-তিন মাস মিটার রিডিং না নিয়ে অনুমানভিত্তিক বিল তৈরি, মিটারের চেয়ে বেশি ইউনিট বিল করা এবং নির্ধারিত সময়ের পর বিলের কাগজ পৌঁছানোর মতো একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যুৎ বিভাগের রিডাররা নিজেদের খেয়ালখুশিমতো বিল তৈরি করছেন। জুন মাস এলেই গ্রাহকদের ওপর অস্বাভাবিক হারে বিল চাপিয়ে দেওয়া হয়, যাতে রিডাররা নিজেদের টার্গেট পূরণ করতে পারেন। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন গ্রামীণ ও নিম্নআয়ের পরিবারগুলো। অনেকেই দিনের পর দিন বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না।

ব্যবহারের চেয়ে অতিরিক্ত ইউনিট!

কুয়াকাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. শামিম হোসেন জানান, “৮ জুন আমার মিটারের রিডিং ছিল ৬৮১০ ইউনিট, অথচ ২০ দিন পর দেওয়া বিলের রিডিং দেখানো হয়েছে ৬৭৭৭ ইউনিট। ব্যবহারের পরও ইউনিট কমেছে! হিসাব অনুযায়ী অন্তত ১৫০ ইউনিট অতিরিক্ত দেখানো হয়েছে। এটা শুধুই আমার না, পুরো এলাকায় এ অবস্থা। এটা কি প্রতারণা নয়?”

চাপলী এলাকার বাসিন্দা ফরিদ অভিযোগ করে বলেন, “আমার বাড়িতে একটি লাইট ও একটি ফ্যান চলে। আগে বিল আসত সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা, এখন বিল এসেছে ৯০০ টাকা। অথচ মিটার অনুযায়ী এত ইউনিট ব্যবহার হয়নি। তিন মাসে বিল না দিয়ে, পরে হঠাৎ বড় অঙ্কের বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়। আবার মাইকিং করে সংযোগ বিচ্ছিন্নের হুমকিও দেওয়া হয়, তাই বাধ্য হয়ে অনেকে জরিমানা দিয়ে পরিশোধ করছেন।”

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কুয়াকাটা জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. সিফাতুল্লাহ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ধুলাসারের কাউয়ার চর এলাকায় সবচেয়ে বেশি অভিযোগ থাকায় ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা মিটার রিডার মো. মোস্তাফিজুর রহমান হিমেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের জনবল সংকট রয়েছে, ফলে কিছু সেবায় বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে ভবিষ্যতে এমন ভুল আর না হয়।”

২৬২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন