সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে বৃষ্টি ও হঠাৎ বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪৫, বাড়ছে দুর্যোগের শঙ্কা

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫ ৫:৪০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
টানা মৌসুমি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। গত কয়েক দিনে দেশজুড়ে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

রবিবার (২৯ জুন) পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে, যেখানে মারা গেছেন ২১ জন। তাদের মধ্যে ১০ জনই শিশু। প্রদেশটির স্বাত উপত্যকায় হঠাৎ বন্যায় নদীর তীরে বসবাসরত পরিবারগুলো পানির তোড়ে ভেসে যায় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে।

পাঞ্জাব প্রদেশে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রাণহানির বেশিরভাগই ঘটেছে দেয়াল ও ছাদ ধসে পড়ার কারণে, যার মধ্যে ৮ জনই শিশু। এছাড়া সিন্ধ ও বেলুচিস্তান প্রদেশেও অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতেও ভারী বৃষ্টি ও হঠাৎ বন্যার আশঙ্কা রয়ে গেছে। ২৯ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত দেশজুড়ে বজ্রঝড়, দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ইসলামাবাদ, কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন এলাকায় শহুরে বন্যা, ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ সিন্ধের করাচি, হায়দ্রাবাদ, ঠাঠা ও বাদিন অঞ্চলে ২ জুলাই থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে, যা শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় চরম আবহাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের স্পষ্ট প্রভাব। গবেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সমন্বিত প্রস্তুতি, তথ্য বিনিময় ও টেকসই অবকাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। কারণ, পাকিস্তানের মতোই এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের নিম্নাঞ্চলগুলোও তীব্র বৃষ্টিপাত ও হঠাৎ বন্যার হুমকির মুখে রয়েছে।

১২০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন