ইসরাইলের জবাবে প্রতিরক্ষা শক্তির সামান্য অংশই ব্যবহার করেছে ইরান

রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫ ৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইসরাইলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক পাল্টা হামলায় ইরান তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার মাত্র পাঁচ শতাংশেরও কম ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছেন ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
শনিবার (২৯ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইআরজিসির সমন্বয়বিষয়ক উপ-কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ-রেজা নাগদি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “ইসরাইলের ওপর পাল্টা হামলার সময় আমাদের প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলোর মাত্র ৫ শতাংশ সক্রিয় ছিল। এর মানে এই নয় যে আমরা আমাদের অস্ত্র মজুত শেষ করে ফেলেছি। বরং এর অর্থ, আমাদের মূল সামরিক শক্তি এখনো ব্যবহার করা হয়নি।”
নাগদি আরও বলেন, “আমরা এখনো পূর্ণমাত্রায় সামরিক শক্তি প্রকাশ করিনি। শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমাদের স্থলবাহিনী, বিমান ও নৌবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত যা করা হয়েছে, তা শুধু আমাদের প্রস্তুতির অংশমাত্র।”
সীমিত প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের বড় ক্ষয়ক্ষতি
ইরান জানায়, ১৩ জুন ইসরাইলের আকস্মিক হামলার জবাবে তারা ব্যালিস্টিক ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা আঘাত হানে। হামলার লক্ষ্য ছিল ইসরাইলি দখলকৃত অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক, সামরিক ও শিল্প স্থাপনাগুলো। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এসব হামলায় বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যয়
ইরানের হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ‘থাড’ (THAAD) ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে। অন্তত দুটি থাড ইউনিট ব্যবহার করে সাতটি স্থান থেকে প্রতিরোধ চালানো হয়। এই সামরিক সহায়তা কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হয়েছে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে।
জেনারেল নাগদি আরও বলেন, “আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই মূলত সক্রিয় ছিল। কিন্তু আমাদের প্রকৃত শক্তি নিহিত রয়েছে স্থলবাহিনীতে। শত্রু যদি আরও আগ্রাসী হয়, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে তাদের প্রতিরোধে সক্ষম।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি আমরা আসল সামরিক শক্তি প্রয়োগ করি, তাহলে তা হবে বহু গুণ বেশি ধ্বংসাত্মক এবং ব্যাপক।”
১২৬ বার পড়া হয়েছে