সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

মার্কিন হামলার নামে ছড়ানো ভিডিও ভুয়া, ডয়চে ভেলের রিপোর্ট প্রকাশ

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫ ৫:০০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ডয়চে ভেলে প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কথিত ভিডিওর বেশিরভাগই বিভ্রান্তিকর ও ভুয়া।

এসব ভিডিও ডিজিটালি তৈরি কিংবা অন্য ঘটনার পুরোনো ফুটেজ বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটির ফ্যাক্টচেক টিম।

সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ডয়চে ভেলে জানায়, ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান এলাকায় ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামের এক গোপন অভিযানে মার্কিন বি-টু স্পিরিট যুদ্ধবিমান থেকে বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা বর্ষণ করা হয়। ২১ জুন পরিচালিত এই অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনীরও সহযোগিতা ছিল বলে জানা গেছে।

এই আঠারো ঘণ্টার গোপন মিশন শেষে সাতটি বি-টু বিমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে ফিরে যায় এবং পেন্টাগন এটিকে "অসাধারণ সামরিক সাফল্য" বলে উল্লেখ করে। এর জবাবে ইরান ২৩ জুন কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

এই ঘটনার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নাটকীয় সব ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে—যেগুলোর বেশিরভাগই মার্কিন হামলার দৃশ্য বলে দাবি করা হয়। তবে ডয়চে ভেলের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সেগুলোর অনেকগুলোই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দিয়ে তৈরি অথবা অন্য সময়ের ভিডিও।

একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, এক শহরের কাছে মাশরুম-আকৃতির ধোঁয়ার কুন্ডলীসহ বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটছে। টিকটক, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, এটি ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার দৃশ্য। তবে বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি AI দিয়ে তৈরি এবং এর কোনো সম্পর্ক নেই সাম্প্রতিক মার্কিন হামলার সঙ্গে।

এছাড়া, ইন্দোনেশিয়ার একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ভিডিওকেও ইরানে হামলার দৃশ্য হিসেবে চালানো হয়েছে। রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা গেছে, ভিডিওটি আগেই অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি অগ্ন্যুৎপাতের একটি প্রামাণ্য ভিডিও।


টিকটকে ছড়িয়ে পড়া আরেকটি ভিডিওতে দাবি করা হয়, একটি মার্কিন বি-টু যুদ্ধবিমান ইরানে ভূপাতিত হয়েছে। ভিডিওটি ৭০ হাজারের বেশি দর্শক দেখেছেন। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে, সাতটির সবকটি বিমানই নিরাপদে ফিরে এসেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যেমন বিবিসি, সিবিএস এবং এপি ওই বিমানের ফিরে আসার ভিডিও প্রকাশ করেছে।

আরও একটি ভাইরাল ভিডিওতে দাবি করা হয়, এটি ফোর্দোতে হামলার পরের দৃশ্য। কিন্তু যাচাই করে দেখা গেছে, এটি জুনের শুরুর দিকে তেহরানে একটি তেলের ডিপোতে ইসরায়েলি হামলার ভিডিও।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধ বা নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বড় ঘটনা ঘটলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া ভিডিও ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়া নতুন কিছু নয়। ব্যবহারকারীদের যাচাই-বাছাই ছাড়া এসব ভিডিও বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

১২৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন