‘টুইটার খুনি’ নামে পরিচিত সিরিয়াল হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর জাপানে

শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫ ৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
জাপানে এক ভয়ঙ্কর সিরিয়াল খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যিনি ‘টুইটার খুনি’ নামে পরিচিত। এই খুনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার ব্যবহার করে ছয়জন নারীসহ মোট নয়জনকে হত্যা করেন।
এই খবর শুক্রবার (২৭ জুন) নিশ্চিত করেছেন জাপানের বিচারমন্ত্রী। এটি ছিল প্রায় তিন বছরের মধ্যে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর জাপানে।
৩৪ বছর বয়সী তাকাহিরো শিরাইশির বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আদালত অভিযোগ আনলে তিনি আদালতকে স্বীকার করেন, তিনি ৯ জনকে হত্যা করেছেন। এই মামলাটি ছিল দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী একটি গণহত্যার ঘটনা। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আদালত তার বিরুদ্ধে হত্যার পাশাপাশি ধর্ষণ ও মৃতদেহ কেটে ফেলার অভিযোগ প্রমাণিত করে।
প্রথমে জানা যায়, শিরাইশির বাড়িতে তিনটি কুলার বক্স এবং পাঁচটি কনটেইনার পাওয়া যায়, যেখানে তার মৃতদেহ কাটাকুটি করা অবস্থায় ছিল। নিহতদের দেহাবশেষের মধ্যে মাথা ও হাড় ছিল, যেখানে তিনি মাংসও সরিয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে আটজন নারী ও একজন পুরুষ, যাদের বয়স ছিল ১৫ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে।
সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ও টিভি আসাহি জানায়, ভিকটিমরা সামাজিকমাধ্যমে আত্মহত্যার কথা লিখে যোগাযোগের জন্য খুঁজে নিতেন শিরাইশিকে। তিনি তাদের খুঁজে পেয়ে, দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ফাঁদে ফেলতেন। হত্যার উদ্দেশ্য ছিল যৌন ও আর্থিক চাহিদা পূরণ, যা এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়।
বিচারমন্ত্রী কেইসুকে সুজুকি বলেন, “এই ঘটনার মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বার্থপরতা। মাত্র দুই মাসের মধ্যে নয়জনকে হত্যা করা হয়, যা সমাজে আতঙ্ক ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারদের জন্য এটি অত্যন্ত কষ্টের।”
জাপানে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় ২০২২ সালের জুলাইয়ে। দেশটিতে সাধারণত ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, তবে কখন ফাঁসি কার্যকর হবে তা আগে থেকে জানানো হয় না। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরই তা প্রকাশ করা হয়।
বিচারমন্ত্রী সুজুকি জানান, এই রায় আদালতের পুরো বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং সব দিক বিবেচনা করেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১২২ বার পড়া হয়েছে