তেলআবিব ও হাইফায় ইরানের কৌশলী আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫ ১২:৩২ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইরান সোমবার ভোররাতে ইসরায়েলের তেলআবিব ও হাইফা শহরে কৌশলী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার ফলে দুই শহরে ব্যাপক প্রাণহানি ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।
এই হামলা ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগাম আক্রমণের পাল্টা জবাব হিসেবে চালানো হয়।
এই হামলায় তেলআবিবে একাধিক আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। মার্কিন দূতাবাসের শাখা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো কর্মী হতাহত হননি। বহু হোটেল ও ঘরের জানালা ভেঙে গেছে, আশপাশের এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। একটি স্কুল ও বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ভবনেও ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ করছেন।
হাইফার বন্দর এলাকার কাছে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগেছে। তেল শোধনাগার ও শিল্প এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্তত ৩০ জন আহত এবং বেশ কয়েকজন এখনো নিখোঁজ।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলে অন্তত ৯ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। শুক্রবার থেকে চলমান হামলায় ইসরায়েলে মোট মৃতের সংখ্যা ১৮-১৯ জনে পৌঁছেছে।
ইরান নতুন কৌশল ও অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, যাতে ইসরায়েলের বহুস্তর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিভ্রান্ত হয়েছে এবং কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। ইরান এই হামলায় যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করেছে, সেগুলোর মধ্যে প্রধানত ছিল এমাদ (Emad), গাদর (Ghadr) এবং খেইবার শেকান (Kheibar Shekan) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ৪০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয় এবং বেশ কয়েকটি স্থানে সরাসরি আঘাত লাগে।
১৬ জুন ইসরায়েলের তেলআবিব ও হাইফায় যে হামলা চালিয়েছে, সেটি সামরিক প্রযুক্তির দিক থেকে এক অভূতপূর্ব বিস্ময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইসরায়েলের বহুস্তরবিশিষ্ট শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—যেমন ডেভিড’স স্লিং, প্যাট্রিয়ট ও আয়রন ডোম—ভেদ করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।
১৩০ বার পড়া হয়েছে