করাচির জেল থেকে ২শ'র বেশি কয়েদি পলায়ন, চলছে উদ্ধার অভিযান

মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫ ৪:৪০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
করাচির মালির জেল থেকে ভূমিকম্পের সময় তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ২০০-র বেশি বন্দি পালিয়ে গেছে। সোমবার এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।
জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করাচিতে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েদিদের সাময়িকভাবে ব্যারাক থেকে বাইরে আনা হয়। এ সময় সার্কেল ৪ ও ৫-এর প্রায় ৬০০ বন্দি বাইরে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে গেটের দিকে হুড়োহুড়ি শুরু হলে, কয়েদিরা প্রধান ফটক ভেঙে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া বন্দির সংখ্যা ২১৬ বলে জানা গেছে।
সিন্ধ প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান লাঞ্জার এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় জেল ভাঙার ঘটনা।” তিনি জানান, প্রায় ৭০০ থেকে ১,০০০ বন্দি একসঙ্গে গেটের কাছে জড়ো হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন গেট ভেঙে পালাতে সক্ষম হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের সনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চলছে। পাশাপাশি, তদন্তে কারও অবহেলা বা সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিন্ধ পুলিশের মহাপরিদর্শক গুলাম নবি মেমন জানান, মালির জেলে অনেক মাদক-সম্পর্কিত এবং মানসিকভাবে অস্থির কয়েদি রয়েছেন। তিনি বলেন, “এই পালানোর ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না, তবে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চালানো হবে।”
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮০ জনের বেশি কয়েদিকে পুনরায় আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এখনও ১৩৫ জনের বেশি বন্দি পলাতক রয়েছেন।
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার সময় মালির জেলে মোট ৬,০২২ জন বন্দি ছিল। পলায়নকারীদের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার সময় একজন বন্দির মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন তিনজন ফ্রন্টিয়ার কর্পস সদস্য ও একজন জেল কর্মী। বর্তমানে পুলিশ, রেঞ্জার্স, ফ্রন্টিয়ার কর্পস, এসএসইউ ও র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
পুনরায় আটক হওয়া এক বন্দি সিরাজ বলেন, “ভূমিকম্পের সময় সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তখন গেট ভাঙতে শুরু করে। আমি অস্ত্র মামলায় আটক ছিলাম, পালিয়ে গিয়েছিলাম, পরে ধরা পড়ি।”
ঘটনাটি ঘিরে দেশজুড়ে নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
১৩৮ বার পড়া হয়েছে