সাতক্ষীরায় চাহিদার তুলনায় পশুর যোগান বেশি, কাঙ্ক্ষিত আয় নিয়ে শঙ্কা

শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫ ৭:১৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলার খামারীরা শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জেলার বিভিন্ন খামারে গমের ভূষি, ভুট্টা, সয়াবিন খৈল ও নিজস্ব চাষ করা ঘাসসহ অর্গানিক খাদ্য ব্যবহার করে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায় মোট ১২ হাজার ৮৯৪ জন খামারির খামারে এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৬০৬টি পশু। এর মধ্যে রয়েছে ৪৯ হাজার ১৯৯টি গরু, ১ হাজার ১৮২টি মহিষ, ৪৪ হাজার ৫৪টি ছাগল এবং ৬ হাজার ১৫৬টি ভেড়া।
এদিকে, জেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৮৫ হাজার ৩১৮টি পশুর, যার মধ্যে ৪২ হাজার ৩৫২টি গরু, ৬১৬টি মহিষ, ৩৮ হাজার ৮৫০টি ছাগল এবং ৩ হাজার ৫০০টি ভেড়া রয়েছে। ফলে এ বছর সাতক্ষীরায় ১৫ হাজার ২৮৮টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে জানা গেছে।
খামারিরা জানিয়েছেন, পশুখাদ্য ও পরিচর্যার খরচ বেড়েছে। তবুও ভারত থেকে গরু না এলে ভালো দাম পাওয়ার আশায় তারা আশাবাদী। রাজেন্দ্রপুর গ্রামের খামারি প্রভাষ ঘোষ জানান, তার খামারের দুইটি গরুর ওজন ১০ মণের উপরে, দাম চাওয়া হচ্ছে ৮ লাখ টাকা। তবে গত বছরের মতো লাভ হবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ক্রেতারা। কেউ বলছেন, দাম গত বছরের তুলনায় বেশি, কেউ বলছেন তুলনামূলক কম।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ডা. বিষ্ণুপদ বিশ্বাস জানান, “এ বছর পশুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২ থেকে ৩ শতাংশ বেড়েছে। চাহিদার চেয়ে যোগান বেশি থাকায় কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই।”
তিনি আরও জানান, ভারত থেকে গরু প্রবেশ ঠেকাতে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় পাচারের শঙ্কা থাকলেও স্থানীয় চাষিদের তেমন ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
এদিকে, খামারগুলোতে দিনভর চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পশু পরিচর্যার কাজ। গরুর খাবার তৈরি থেকে শুরু করে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারের কর্মচারীরা।
১২৪ বার পড়া হয়েছে