সর্বশেষ

জাতীয়

সচিবালয়ে আজ কর্মচারীদের তালা ঝোলানো কর্মসূচি ও দাবি দাওয়া পুনর্গঠন

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫ ৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সচিবালয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলন আরও জোরদার হয়েছে, যেখানে আজ সোমবার কর্মচারীরা সচিবালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আগে গত দুই দিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী তাঁদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়, যা কর্মচারীরা ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ বলে প্রত্যাখ্যান করে তা প্রত্যাহার দাবি করেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, নীতিমালা অনুযায়ী এই খসড়ার অবিলম্বে বাতিল না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি পালন করবে।

অধ্যাদেশের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি কর্মচারীর জন্য নতুন বিধান, যেখানে চার ধরনের অপরাধের জন্য তিন ধরনের শাস্তি—বরখাস্ত, অব্যাহতি ও পদাবনতি বা বেতন কাটা—প্রয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। এই বিধান মূলত ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ পুনরায় কার্যকর করে, যা দ্রুত চাকরিচ্যুতির পথ সুগম করবে।

আন্দোলনের মধ্যে গতকাল সকাল ১০টার দিকে শত শত কর্মচারী দপ্তর থেকে বের হয়ে মিছিল করতে থাকেন। স্লোগানে ভরে ওঠে সচিবালয়, যেখানে তারা ‘অবৈধ কালো আইন মানব না’, ‘রক্তে আগুন লেগেছে’ ও ‘সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি শ্লোগান দেন। মিছিলটি বিভিন্ন বিভাগের মধ্য দিয়ে সচিবালয়ের ভেতর প্রবেশ করে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে সমাবেশ করে।

সমাবেশে নেতৃত্ব দেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর ও কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম। এ সময় তাঁরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে কর্মচারীরা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের দপ্তরে যান, কিন্তু তিনি উপস্থিত ছিলেন না। পরে তারা আবার সচিবালয়ে ফিরে আসেন।

বৈঠকের পর বাদিউল কবীর বলেন, অধ্যাদেশের খসড়াকে ‘কালাকানুন’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এই নীতিমালা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। পরে দুপুরে বাদামতলায় অবস্থান নেন কর্মচারীরা। অবশেষে, উপদেষ্টা আদিলুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের দাবি তুলে ধরেন।

অন্তর্বর্তী সময়ে সরকার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নতুন একটি স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন করেছে, যা সরকারি কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সুপারিশ দেবে। কমিটি অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি থাকবেন। কমিটি প্রতি মাসে একবার সভা করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারবে।

এ আন্দোলন অব্যাহত থাকলেও সরকারের এই পদক্ষেপ ও দাবি-দাওয়া বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

১৩৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন