জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের উদ্যোগ: আলী রীয়াজ

বৃহস্পতিবার , ১৫ মে, ২০২৫ ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এ সনদে দেশের সকল রাজনৈতিক শক্তির ঐকান্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের এল. ডি হলে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সঙ্গে কমিশনের এক আলোচনাসভায় আলী রীয়াজ বলেন, “ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াকে একটি জাতীয় সনদে রূপ দিতে চাই। ভবিষ্যতে প্রতিটি রাজনৈতিক দল এই সনদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করবে।”
তিনি বলেন, এই উদ্যোগ দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার প্রতিফলন। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থান সেই ক্ষোভ ও আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটিয়েছে, যাকে একটি কাঠামোবদ্ধ রূপ দিতে চায় কমিশন।
আলোচনায় কমিশনের সদস্যবৃন্দ—বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার—উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, “আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই যেখানে নাগরিকদের সমানাধিকার নিশ্চিত হবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে এবং ভিন্নমতের প্রতি থাকবে শ্রদ্ধাবোধ। ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি কেউ চায় না।”
তিনি উল্লেখ করেন, পূর্ববর্তী সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে কমিশন। তিনি বলেন, “এই দায়িত্ব শুধু কমিশনের নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলোকেই জনগণের প্রত্যাশাকে সামনে রেখে পথ তৈরি করতে হবে।”
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নেয়। দলে ছিলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, নিখিল দাশ, জনার্দন দত্ত নানটু, প্রকৌশলী শম্পা বসু, ডা. মনীষা চক্রবর্তী, জুলফিকার আলী, আহসান হাবিব বুলবুল, খালেকুজ্জামান লিপন, আবু নাঈম খান বিপ্লব এবং রাহাত আহম্মেদ।
১২০ বার পড়া হয়েছে