সর্বশেষ

জাতীয়হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশবাসীকে শান্ত থেকে দোয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ফেসবুকে ছড়ানো তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই, হাদির অবস্থা সংকটজনক : চিকিৎসক
হাদি হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামির বাবা–মা গ্রেফতার
নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশীদের নসিহত গ্রহণযোগ্য নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা ইস্যুতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তলব
বিদেশগমন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও হয়রানি কমেছে: আসিফ নজরুল
অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ শুরু হচ্ছে ২০ ফেব্রুয়ারি
সারাদেশগাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার
ঈশ্বরদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বিএনপি নেতা নিহত
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী রেজাউল গ্রেপ্তার
হাদির ওপর হামলায় ‘ব্যবহৃত’ পিস্তলসহ গুলি নরসিংদী থেকে উদ্ধার
আন্তর্জাতিকফিলিস্তিনিসহ ও ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
খেলানিজের সর্বোচ্চ মূল্যে দল পেয়ে আইপিএল নিলামে ইতিহাস গড়লেন মুস্তাফিজ
ধর্ম

পূর্ববর্তী নবী রাসুলদের রোজা পালনের বিধান

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার , ৬ মার্চ, ২০২৫ ৬:৫০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
রমজান হলো ইসলামিক বর্ষের নবম মাস, যা সকল মাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত। এ মাসে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য রোজা পালন করা একটি প্রধান ধর্মীয় কর্তব্য।

রোজা পালনের এই বিধান নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর উপরই প্রথম ফরজ হয় নি, বরং এর সূচনা পূর্ববর্তী নবীদের যুগ থেকেই হয়েছে।

কোরআনে উল্লেখ আছে, "হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনটি তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের ওপর ফরজ করা হয়েছিল।" (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৩) তবে রোজার বিধান এক হলে, এ নিয়ে পূর্ববর্তী নবীদের বিভিন্ন মূল্যের রোজার বিভিন্ন ধরন ছিল। নিম্নে তাদের রোজার কিছু উল্লেখ করা হলো—

১. আদম (আ.)-এর রোজা: আদম (আ.) ছিলেন মানবজাতির প্রথম নবী। তিনি প্রথম রোজাও পালন করেন। যদিও তাঁর রোজার বিস্তারিত কোনো উল্লেখ নেই, এ থেকে জানা যায় যে, আল্লাহ তাকে একটি নিষিদ্ধ গাছের ফল থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন, কিন্তু তিনি তা খেয়ে ফেলেন। পরে আল্লাহ তাকে রোজার নির্দেশ দেন, যা তিনি প্রতি মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখে পালন করতে শুরু করেন। এই রোজার নাম ছিল ‘আইয়ামে বিজ’।

২. নুহ (আ.)-এর রোজা: নুহ (আ.) প্রথম রসূল হিসেবে ধার্মিক জীবন যাপন করতেন। তিনি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন ছাড়া বছরের প্রতিটি দিন রোজা পালন করতেন।

৩. ইবরাহিম (আ.)-এর রোজা: ইবরাহিম (আ.) নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর পূর্বপুরুষ, যিনি প্রতি মাসের প্রতিটি ১৩, ১৪, ও ১৫ তারিখে রোজা রাখতেন, এটি আদম (আ.)-এর অনুসরণ করে পালন করতেন।

৪. দাউদ (আ.)-এর রোজা: দাউদ (আ.) ছিলেন একজন ন্যায়পরায়ণ নবী, যিনি এক দিন রোজা রাখতেন এবং এক দিন বিরতি দিতেন। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ভাষায়, "আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় রোজা দাউদ (আ.)-এর রোজা।"

৫. সুলাইমান (আ.)-এর রোজা: সুলাইমান (আ.) প্রতি মাসে ৯টি রোজা রাখতেন, যা প্রথম দশক, মাঝের দশক এবং শেষ দশকে তিনটি করে বিভক্ত ছিল।

৬. ঈসা (আ.)-এর রোজা: ঈসা (আ.) বিভিন্ন ধরনের খাদ্য থেকে বিরত থাকতেন, বিশেষ করে মাছ ছাড়া অন্যান্য প্রাণী। এটি তাঁর রোজার একটি বিশেষ উল্লেখ ছিল।

এইভাবে পূর্ববর্তী নবীদের রোজা পালনের বিধান এবং পদ্ধতিগুলি ইসলামের রোজার বিধানের জন্য একটি ঐতিহাসিক ভিত্তি স্থাপন করে।

৪৫০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
ধর্ম নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন