সর্বশেষ

জাতীয়সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে শরিফ ওসমান হাদি
হাদির ওপর হামলা একটি ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে : সিইসি
সাংবাদিক আনিস আলমগীর গ্রেপ্তার, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ডাকসু নেতাদের
মহান বিজয় দিবস : সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন
সুদানে বাংলাদেশি নিহত: জাতিসংঘ মহাসচিবের তীব্র নিন্দা ও সতর্কবার্তা
ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা, তিনজন আটক
খালেদা জিয়ার অবস্থার পরিবর্তন নেই, বিদেশে নেয়া হচ্ছে না : চিকিৎসক
সারাদেশনেত্রকোনার কলমাকান্দায় ডোবায় পড়ে শিশুর মৃত্যু
খুলনায় কাপড় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
সিরাজগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
ধামরাই ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন, সভাপতি রবিন সম্পাদক জিসান
আন্তর্জাতিকসিডনিতে সন্ত্রাসী হামলায় বাবা-ছেলের হাত, নিহত বেড়ে ১৬
কলম্বিয়ায় বাস খাদে পড়ে নিহত ১৭
খেলাবার্সেলোনা কিনতে ১০ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি যুবরাজ
আন্তর্জাতিক

সু চি'র স্বাস্থ্যের অবনতি : মা বেঁচে আছে কি না শঙ্কা ছেলে কিমের

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:৩৪ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
মিয়ানমারের সাবেক গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অং সান সু চির শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার ছেলে কিম অ্যারিস।

দীর্ঘদিন মায়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না থাকায় তিনি আশঙ্কা করছেন, হয়তো তার মা আর জীবিত নেই।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যারিস জানান, গত কয়েক বছর ধরে ৮০ বছর বয়সী সু চির সঙ্গে তার কোনও ধরনের যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির সরকার উৎখাত হওয়ার পর থেকেই তিনি কার্যত সম্পূর্ণভাবে বাইরের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন।

জাপানের রাজধানী টোকিওতে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে অ্যারিস বলেন, পরোক্ষ সূত্রে মায়ের হৃদযন্ত্র, হাড় ও মাড়ির বিভিন্ন জটিলতার কথা জানা গেলেও তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। দুই বছরের বেশি সময় ধরে তাকে কেউ দেখেনি, এমনকি আইনজীবীদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।

অ্যারিসের ভাষায়, 'মায়ের শারীরিক সমস্যা গুরুতর। পরিবারের সঙ্গে তো কোনও যোগাযোগই নেই। আমার মনে হয়, তিনি হয়তো ইতোমধ্যেই মারা গেছেন।'

তিনি ধারণা করছেন, মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং রাজনৈতিক প্রয়োজনে সু চিকে ব্যবহার করতে পারেন। নির্বাচনের আগে বা পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে তাকে মুক্তি বা গৃহবন্দি করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন অ্যারিস।

এ বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দেশটির সামরিক বাহিনীর অতীতে উৎসব বা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মুহূর্তে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার নজির রয়েছে।

অং সান সু চি ২০১০ সালের নির্বাচনের পর মুক্তি পান এবং ২০১৫ সালের নির্বাচনে কার্যত মিয়ানমারের নেতৃত্বে আসেন। তবে রোহিঙ্গা সংকটের সময় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ মোকাবিলায় তার ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সু চিকে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে মোট ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উদ্দীপনা সৃষ্টি, দুর্নীতি ও নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ তিনি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।

অ্যারিসের ধারণা, সু চিকে রাজধানী নেপিদোতে বন্দি করে রাখা হয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে মায়ের কাছ থেকে পাওয়া শেষ চিঠিতে তিনি বন্দিশিবিরের কক্ষে গরম ও শীতের চরম তাপমাত্রার কথা উল্লেখ করেছিলেন।

বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাত ও সংকটের ভিড়ে মিয়ানমারের পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলের নজর থেকে সরে যাচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন অ্যারিস।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে অনুষ্ঠেয় মিয়ানমারের নির্বাচনকে মায়ের মুক্তির সম্ভাব্য সুযোগ হিসেবে দেখছেন সু চির যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এই ছেলে। এ লক্ষ্যেই তিনি জাপানসহ বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি জান্তা সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর চালানো সহিংসতায় তার মায়ের কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না- এ দাবি পুনর্ব্যক্ত করে অ্যারিস বলেন, 'মা সব সময় চাইতেন আমি রাজনীতি থেকে দূরে থাকি। কিন্তু এখন আমার সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই। আমি যদি না এগোই, তাহলে আর কেউ এগোবে না।'

১২১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন