দৌলতপুর সীমান্তে অস্ত্র-মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার, জনি হত্যা মামলায় অগ্রগতি
মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় থাকা আলোচিত দুই অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র চোরাচালান বিষয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ এলাকায় নজরদারি ও অভিযান আরও বাড়ায়।
পুলিশ জানায়, জনি ইসলাম (৩৫) হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় লালু মস্তান (৪৬) এবং নাজমুল ইসলাম (৩৫) নামের দুই ব্যক্তিকে নাটরের বড়াই গ্রাম এলাকা থেকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়। লালু দৌলতপুরের মহিষকুন্ডি জামালপুর গ্রামের মৃত ছামু সর্দারের ছেলে এবং নাজমুল মৃত বাকের হোসেনের ছেলে। দুজনের বিরুদ্ধে সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার রাতে নিহত জনির মা হাসু খাতুন দৌলতপুর থানায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর বিশেষ অভিযানে পুলিশ আরও দুইজন-মৃত দুল্লোব আলীর ছেলে সিকান্দার আলী (৬০) এবং এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার দুপুরে প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি মাঠপাড়ার একটি কবরস্থানের পাশ থেকে জনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জনি একই গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে।
জনির পরিবার ও পুলিশের প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, তিনি এলাকার চিহ্নিত অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী সোহানের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। পাওনা টাকা নিয়ে জনি ও সোহানের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ের বিরোধের জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় সোহানের লোকজন জনিকে মারধর করে আহত করে। হত্যার আশঙ্কায় জনি রাতে বাড়ি না গিয়ে মাঠপাড়া এলাকায় অবস্থান করছিলেন। পরদিন বাড়ি ফেরার পথে আবারও হামলার শিকার হয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুই পায়ের রগ কাটা পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দৌলতপুর-ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তার লালু ও নাজমুলকে নাটর থেকে দৌলতপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং মামলার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
১০৯ বার পড়া হয়েছে