তিক্ত রাজনৈতিক বিরোধ থেকে একে অন্যের প্রশংসায় মুখর ট্রাম্প–মামদানি
শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫ ৪:০০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্ক শহরের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি—দুজনের মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা তিক্ত রাজনৈতিক বিরোধ শুক্রবার হঠাৎ করেই বদলে গেল সৌহার্দ্যে। স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে অনুষ্ঠিত প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই নেতাই ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল এবং পরস্পরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেন, “আমি যা ভেবেছিলাম তার চেয়েও বেশি বিষয়ে আমরা একমত হতে পেরেছি। আমরা দুজনই চাই নিউইয়র্ক ভালো থাকুক।”
ট্রাম্প রিপাবলিকান, মামদানি ডেমোক্র্যাট সোশ্যালিস্ট—রাজনৈতিক মতাদর্শ, সামাজিক অবস্থান, বয়স—সব দিক থেকেই দুই নেতা ভিন্ন মেরুর। নির্বাচনী প্রচারণা ও সাম্প্রতিক মন্তব্যে ট্রাম্প মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। মামদানিও বিভিন্ন সময়ে ট্রাম্পের নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
কিন্তু গতকাল বৈঠকে তার উল্টো দৃশ্য দেখা যায়। ওভাল অফিসে একপর্যায়ে ৩৪ বছর বয়সী মামদানি ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্পের পাশে গিয়ে দাঁড়ালে ট্রাম্প হাসিমুখে তার হাত চাপড়ে দেন।
বৈঠকে নীতিগত মতভেদ উপেক্ষা করে নিউইয়র্ক শহরের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জীবনযাত্রার ব্যয় মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কোনো বড় নীতি ঘোষণা না হলেও দুই নেতা ভবিষ্যতে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখার সংকেত দিয়েছেন।
মামদানি বলেন, “আমাদের মধ্যে বহু মতবিরোধ আছে, তবে সভায় আমরা সেগুলো নয়, নিউইয়র্কবাসীর সেবাকে গুরুত্ব দিয়েছি। এমন একটি বৈঠকের জন্য আমি প্রেসিডেন্টকে সত্যিই ধন্যবাদ জানাই।”
ট্রাম্পও প্রশংসা করেন মামদানির নেতৃত্বের। তিনি বলেন, “তিনি যত ভালো কাজ করবেন, আমি ততই খুশি হব।”
ক্ষমতায় দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে আসা ট্রাম্প বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে কঠোর আচরণের জন্য আলোচিত ছিলেন। ফলে মামদানিকে নিয়েও কিছুটা উত্তেজনার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু বৈঠকের আগে থেকেই ট্রাম্প ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ’ আলোচনার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন—এবং বৈঠকের ফলাফল তা-ই প্রমাণ করে।
১১০ বার পড়া হয়েছে