সর্বশেষ

খেলা

২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের

স্পোর্টস রিপোর্টার
স্পোর্টস রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ ৬:৫৪ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ফুটে উঠল এক স্মরণীয় মুহূর্ত। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ২২ বছর পর ভারতকে হারাল বাংলাদেশ।

২০০৩ সালে যে মাঠে সর্বশেষ ভারতকে পরাজিত করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা, সেই একই ভেন্যুতেই এবার ১-০ গোলে ধরা দিল বহু প্রতীক্ষিত জয়।

ম্যাচের শুরু থেকেই ভারত আক্রমণে এগিয়ে ছিল। কিন্তু ১২ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে তৈরি হয় বাংলাদেশের রূপকথা। দারুণ গতিতে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢোকেন রাকিব হোসেন, তার বাঁ দিকের ক্রসে নিখুঁত সংযোগ ঘটান শেখ মোরসালিন। ভারতের গোলরক্ষক এগিয়ে এলেও ঠেকাতে পারেননি শট। এই একমাত্র গোলেই জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

রক্ষণভাগে সবচেয়ে আলো ছড়িয়েছেন লেস্টার সিটির ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তার গোললাইন সেভ, ক্ষিপ্র ট্যাকল ও দুর্দান্ত পজিশনিং পুরো ম্যাচজুড়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখে। এমনকি দূরপাল্লার এক শটে গোলের কাছাকাছি গিয়েছিলেন তিনি। শিলংয়ে অনুষ্ঠিত অভিষেক ম্যাচের পর এটি ছিল তার বাংলাদেশের জার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে—এবার তিনি পেলেন জয়ের স্বাদ।

ম্যাচে উত্তেজনার কমতি ছিল না। ৩৩ মিনিটে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়; রেফারি বাংলাদেশি তপু বর্মণ ও ভারতের নারাভি নিখিলকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে শান্ত করেন। এর আগে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তারিক কাজী; তার স্থলাভিষিক্ত হন তরুণ ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু।

আগেই বাছাইপর্ব থেকে ছিটকে পড়ায় ম্যাচটির তাত্ত্বিক গুরুত্ব ছিল না, তবে মর্যাদার লড়াই হিসেবে ছিল বিশেষ গুরুত্ব। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ এখন ৫ পয়েন্ট। দীর্ঘদিন জয়ের জন্য হাহাকার করা দল অবশেষে ভারতের বিপক্ষে পেলো এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে প্রথম জয়, এবং মোটে দ্বিতীয়বার ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সাফল্য।

সাম্প্রতিক সময়ে শেষ মুহূর্তের গোল হজমে ম্যাচ হাতছাড়া করার অভিজ্ঞতা থাকলেও এবার ডিফেন্স ছিল অটল। ভারত একাধিকবার সমতায় ফিরতে চেষ্টা করেছে, কিন্তু মিতুল মারমা ও ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় বারবার ব্যর্থ হয়েছে।

৪ দিন আগে নেপালের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে জয় হাতছাড়া হওয়ার কষ্ট ভুলিয়ে দিল এই জয়। লাকি সেভেন-বাংলাদেশের হয়ে সপ্তম ম্যাচ খেলেই স্মরণীয় উপলক্ষ্য তৈরি করলেন হামজা চৌধুরী।


বাংলাদেশ একাদশ
মিতুল মারমা; তপু বর্মণ, তারিক কাজী (শাকিল আহাদ তপু); সাদ উদ্দিন, জায়ান আহমেদ (তাজ উদ্দিন); হামজা চৌধুরী; সোহেল রানা; শামিত সোম; রাকিব হোসেন; শেখ মোরসালিন (শাহরিয়ার ইমন); ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।

১০৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
খেলা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন