অবৈধ অভিবাসন দমনে তিন দেশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা যুক্তরাজ্যের
সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ৮:১১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে নজিরবিহীন পদক্ষেপের ঘোষণা দিতে চলেছে যুক্তরাজ্য। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ সোমবার এক নতুন নীতি প্রকাশ করতে পারেন, যেখানে অ্যাঙ্গোলা, নামিবিয়া ও ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোকে (ডিআরসি) ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
হোম অফিসের সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত এসব দেশের অবৈধ অভিবাসী ও বিদেশি অপরাধীদের ফেরত পাঠাতে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলো ‘অত্যন্ত কম সহযোগিতা’ করছে। দীর্ঘদিনের এই অচলাবস্থার কারণেই তিন দেশকে প্রথম ধাপে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তার মতে, অনিয়মিত প্রবেশ দেশের সামাজিক কাঠামো ও আইনশৃঙ্খলার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনুসরণে যুক্তরাজ্যও এখন অনাগ্রহী দেশগুলোর ওপর চাপ বাড়াতে ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে যাচ্ছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথমে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো হবে। সহযোগিতা না মিললে সরকারি কর্মকর্তা, পর্যটক ও ব্যবসায়ী- সব শ্রেণির ভিসায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। প্রয়োজনে সম্পূর্ণ ভিসা স্থগিতাদেশ দেওয়ার কথাও বিবেচনায় রয়েছে।
অবৈধ অভিবাসী প্রত্যর্পণের এই জোরালো উদ্যোগ যুক্তরাজ্যের বড় পরিসরের অভিবাসন সংস্কারের অংশ। সরকারের নতুন নীতিতে অপসারণের বিরুদ্ধে আইনি আপিল সীমিত করা, মানবাধিকার ভিত্তিক প্রতিরোধের সুযোগ সংকুচিত করা এবং আশ্রয়প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আরও কঠোর মূল্যায়ন করার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গত বছর দেশটি ৩৫ হাজারের বেশি অননুমোদিত ব্যক্তি ফেরত পাঠিয়েছে।
এদিকে, সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বাংলাদেশ নেই। বরং ২০২৪ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্য–বাংলাদেশ চুক্তির পর দুই দেশের সহযোগিতা আরও জোরদার হয়েছে বলে জানিয়েছে হোম অফিস। নতুন চুক্তির ফলে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সাক্ষাৎকার বাতিল এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যেকোনো দেশ সহযোগিতা না করলে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে, তবে বাংলাদেশ বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
১০৬ বার পড়া হয়েছে