শেখ হাসিনার মামলার রায় সরাসরি সম্প্রচার হবে বিটিভিতে
রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আগামীকাল ১৭ নভেম্বর (সোমবার) বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচারিত হবে চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায়।
মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারক মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষ পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে এবং শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন। অন্যদিকে, আসামিরা নিজেকে নির্দোষ দাবি করে খালাস প্রার্থনা করেছেন। রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে খালাস চাওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানি পরিচালনা করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস. এইচ. তামিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য প্রসিকিউটর বি. এম. সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন এবং রাজসাক্ষী আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
এই মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষ্য প্রদান করেছেন গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
আদালত অভিযোগ গঠন করেন গত ১০ জুলাই। একপর্যায়ে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী হন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমনের সময় সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও প্রশাসনের কিছু অংশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অভিযোগের বিচার চলছে।
১০৬ বার পড়া হয়েছে