কুষ্টিয়া-৪ আসন: মনোনয়ন নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া, স্থানীয়দের দাবির কেন্দ্রে শেখ সাদী
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর মাঠের রাজনীতিতে নানা হিসাব-নিকাশ।
অসন্তোষের তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ও স্থানীয়দের একাংশের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে শেখ সাদীর নাম। অনেকেই মনে করছেন, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তিনি এ আসনে সম্ভাব্য ‘সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য’ প্রার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে কুমারখালী ও খোকসার বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও বাজার এলাকায় শেখ সাদীর প্রতি জনআস্থা তৈরি হয়েছে। সমর্থকদের দাবি- এটি কোনো তাৎক্ষণিক প্রচারণার ফল নয়; বরং দীর্ঘদিনের মাঠপর্যায়ের যোগাযোগ, সামাজিক কর্মকাণ্ড ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে এই সমর্থন গড়ে উঠেছে।
সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণার পর বিএনপির তৃণমূলের একটি অংশে হতাশা ও বিভাজনের লক্ষণ দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা। তাদের ভাষ্য, এই সময় এমন একজনকে প্রয়োজন যিনি ভোটের আগে দলকে পুনরায় ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হবেন। তাদের মতে, ওই শূন্যস্থান পূরণে শেখ সাদীকে সামনে আনা হলে মাঠে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে।
তরুণ ভোটার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষের মধ্যেও শেখ সাদীর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলে দাবি এই আসনের ভোটারদের। তারা মনে করেন, নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক প্রত্যাশা ও আধুনিক নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি হিসেবে তিনি অন্যদের তুলনায় এগিয়ে।
বিএনপির স্থানীয় কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সভা-সমাবেশ ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ‘জনতার প্রার্থী’ হিসেবে শেখ সাদীর নামই সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। তাদের মতে, জনগণের এই মনোভাব যদি উপেক্ষা করা হয়, তবে নির্বাচনী মাঠ দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, কুষ্টিয়া-৪ আসনে যে ধরনের ভোটের সমীকরণ তৈরি হচ্ছে, সেখানে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা ও ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই কারণে দলীয় সিদ্ধান্তে পরিবর্তনের দাবি উঠছে বলে তারা মনে করেন।
তবে দলীয় পর্যায়ে এই বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, সব প্রস্তাব ও পরিস্থিতি বিবেচনা করেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে।
১৫৬ বার পড়া হয়েছে