বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসায় দাম স্থিতিশীল হওয়ার আশা
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ৬:২৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনো উঁচু হলেও নতুন পেঁয়াজ কলি ধীরে ধীরে বাজারে আসতে শুরু করেছে।
বিক্রেতারা আশাবাদী, আগামী সপ্তাহ নাগাদ নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ এলে দাম স্থিতিশীল হবে।
বর্তমানে পুরনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগেও একই পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। নতুন পেঁয়াজ কলি বাজারে এসেছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। রামপুরা বাজারের কাঁচাপণ্য বিক্রেতা আবু ফজল বলেন, “নতুন পাতা পেঁয়াজ আসছে। কিছুদিনের মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ এলে দাম আর বাড়বে না, এখন কমার সম্ভাবনা বেশি।”
সরকারও পেঁয়াজের দাম পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজন হলে আমদানি অনুমোদন দেওয়া হবে, তবে সীমিত পরিসরে যাতে মৌসুমি পেঁয়াজের বাজারে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হন। ইতিমধ্যেই ২ হাজার ৮০০ প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজ আমদানের জন্য আবেদন করেছে।
অন্যদিকে, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় অধিকাংশ সবজির দাম কমেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ৩০-৫০ টাকা, নতুন শিম ৭০-৮০ টাকা, নতুন বেগুন ৬০-৭০ টাকা, শালগম ৬০-৮০ টাকা এবং মুলা ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন কাঁচা টমেটো ৮০-১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় গ্রীষ্মের পুরনো সবজির চাহিদা কমেছে। পেঁপে ২০-৩০ টাকায়, পটল ৪০-৬০ টাকায়, চালকুমড়া ও লাউ ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-৭০ টাকা এবং ঢ্যাঁড়স ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ডিমের দামও কমেছে। ফার্মের ডিমের প্রতি ডজন দাম এখন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, যেখানে মাসখানেক আগে এটি ১৫০ টাকা ছিল। ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা ইয়াকুব আলী বলেন, 'মানুষ এখন শীতের সবজি বেশি কিনছেন। ফলে গ্রীষ্মের সবজির চাহিদা কমে যাচ্ছে।'
মুদি বাজারে অন্যান্য পণ্যের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।
১০৫ বার পড়া হয়েছে