সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

'নজিরবিহীন' টাইফুন কালমায়েগি এখন যাচ্ছে ভিয়েতনামে

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার , ৬ নভেম্বর, ২০২৫ ৪:৫৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
চলতি বছরের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন কালমায়েগির আঘাতে ফিলিপিন্সে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১১৪ জনে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষ।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, টাইফুনটি দেশের মধ্যাঞ্চলের বিশাল অংশে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি করেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৃহত্তম জনবসতিপূর্ণ দ্বীপ সেবু, যেখানে ৭১ জনের মৃত্যু ও ৮২ জন আহত হয়েছেন। এখনো অন্তত ১২৭ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সেবুর প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ আরও ২৮ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে, যা জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরক্ষা দপ্তরের হিসাবের বাইরে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ কালমায়েগি ফিলিপিন্স ছেড়ে মধ্য ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হয়। ইতোমধ্যে ভিয়েতনামে বন্যা ও ভূমিধসে ডজনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ফিলিপিন্সে অধিকাংশ মানুষ বন্যার পানিতে ডুবে প্রাণ হারান। পাহাড় থেকে নেমে আসা কাদামাটির ঢল শহর ও গ্রামীণ এলাকাগুলো প্লাবিত করে দেয়। সেবুর ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকাগুলোতে ছোট ছোট ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, আর পানি নেমে যাওয়ার পরও ঘন কাদার স্তরে ঢেকে রয়েছে সেসব এলাকা।

স্থানীয় কর্মকর্তারা একে 'নজিরবিহীন' দুর্যোগ বলে উল্লেখ করেছেন।

মান্দাউ শহরের বাসিন্দা জেল-আন মইরা সার্ভাস বিবিসিকে জানান, কয়েক মিনিটের মধ্যেই তার ঘর কোমরসমান পানিতে ডুবে যায়। বৃষ্টি থেমে রোদ উঠেছে, কিন্তু ঘরে এখনো কাদা আর এলোমেলো জিনিসে ভরা। কোথা থেকে পরিষ্কার শুরু করব বুঝতে পারছি না, বলেন তিনি।

জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শুধু সেবু অঞ্চলেই প্রায় ৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এদিকে ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়ে মিন্দানাও দ্বীপে একটি সামরিক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে; তাদের নামও সরকারি মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।

উদ্ধারকর্মী কার্লোস হোসে লানাস বলেন, আমরা প্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু বন্যার পরিমাণ কল্পনাতীত ছিল। প্রায় সব নদী উপচে পড়েছিল, হাজারো মানুষ সাহায্যের জন্য ছুটে আসে।

টাইফুন কালমায়েগি, যা স্থানীয়ভাবে ‘টিনো’ নামে পরিচিত, এ বছর ফিলিপিন্সে আঘাত হানা ২০তম ক্রান্তীয় ঝড়। এর আগের মাসেই দেশটিতে দুটি বড় টাইফুন- সুপার টাইফুন রাগাসা (স্থানীয় নাম নান্দো) এবং বুয়ালয় (স্থানীয় নাম ওপং)- মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।

গত কয়েক মাসের ভারি বৃষ্টিপাতে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দুর্বল বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও দুর্নীতির অভিযোগে সরকার নিয়ে জনরোষ বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার ফিলিপিন্স ত্যাগের পর কালমায়েগির বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেড়ে যায়। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে এটি মধ্য ভিয়েতনামের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ইতোমধ্যে সেখানে ৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত করা হয়েছে।

ভিয়েতনামে টানা বৃষ্টিপাত ও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো প্লাবিত হয়েছে। প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস ও নদী উপচে পড়ার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

১২৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন