আগাম শীতকালীন সবজির সরবরাহে বাজারে দামে স্বস্তির ইঙ্গিত
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আগাম শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় কিছু সবজির দামে কমতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিম ও টমেটোর দামে বড় ধরনের পতন হয়েছে।
গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শিমের দাম কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
বৃহস্পতিবার (গতকাল) রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে—প্রতি কেজি শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। কাঁচা টমেটো বাজারে আসায় আমদানি করা পাকা টমেটোর দামও কমে এখন কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় নেমে এসেছে।
এ ছাড়া লম্বা লাউ, পটোল, ঢেঁড়স ও কচুমুখীর দামে কিছুটা স্বস্তি মিলছে। বাজারে পটোল কেজিপ্রতি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০–৮০ টাকা, কচুমুখী ৫০–৬০ টাকা এবং লম্বা লাউ প্রতি পিস ৬০–৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচও কিছুটা সস্তা হয়ে কেজিপ্রতি ১৬০–২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে এখনো বেশির ভাগ সবজির দাম উচ্চ পর্যায়েই রয়েছে। বেগুন কেজিপ্রতি ১০০–১৮০ টাকা, করলা ১০০–১১০, ঝিঙা ৮০–৯০, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল ৮০, বরবটি ৮০–১০০, লতি ৮০, মিষ্টিকুমড়া ৫৫–৬০ এবং ফুলকপি প্রতি পিস ৬০–৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জোয়ারসাহারা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মিলন খান বলেন, “সরবরাহ বাড়ায় কিছু সবজির দাম কমেছে। আশা করা যাচ্ছে, সামনে সরবরাহ আরও বাড়লে সব ধরনের সবজির দাম কমে আসবে।”
অন্যদিকে, মাছ ও মাংসের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০–১৮০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ৩০০–৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে মাঝারি রুই ৩৫০ টাকা, বড় রুই ৪৫০–৫০০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ২৩০–২৫০ টাকা, কই ২৪০–২৫০ টাকা এবং চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০–১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের বাজারে গত সপ্তাহে সামান্য স্বস্তি ফিরেছে। একসময় ডজনপ্রতি ১৫০ টাকায় উঠলেও এখন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০–১৪৫ টাকায়।
তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের মধ্যে মসুর ডাল ও পেঁয়াজের দাম এখনো আগের মতোই চড়া। ছোট দানার মসুর ডাল কেজিপ্রতি ১৬০ টাকা, মাঝারি দানা ১৩০–১৪০ এবং বড় দানা ১১৫–১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৮০–৮৫ টাকা।
সবমিলিয়ে বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির সরবরাহ ক্রমে বাড়ায় দাম কিছুটা কমলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে এখনো ভোক্তাদের তেমন স্বস্তি আসেনি।
১৯৬ বার পড়া হয়েছে