সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

গাজা ইস্যুতে মতবিরোধ: বরখাস্ত ইসরায়েলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫ ৯:২৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
গাজা যুদ্ধ নিয়ে নীতিগত মতপার্থক্যের জেরে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাচি হানেগবিকে বরখাস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম।

প্রধানমন্ত্রীর এক বিবৃতিতে হানেগবির সেবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানানো হয় এবং তার ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা প্রকাশ করা হয়।

হানেগবির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন গিল রাইখ, যিনি এর আগে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাইখ ২০২২ সালে সরকারে যোগদানের আগে পারমাণবিক শক্তি কমিশনের উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

লিকুদ পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা হানেগবি গাজা যুদ্ধের পরিকল্পনা নিয়ে শুরু থেকেই নেতানিয়াহুর সঙ্গে মতানৈক্যে ছিলেন। তিনি হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে কাতারে পরিচালিত এক অভিযানেরও বিরোধিতা করেছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।

এক বিবৃতিতে হানেগবি স্বীকার করেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার মতপার্থক্য ছিল। তবে তিনি এই দায়িত্বকে “বিশেষ সুযোগ” হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

হানেগবি আরও বলেন, “যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। এখনও সব জিম্মি মুক্ত হয়নি, এবং গাজা উপত্যকার সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়নি।"

তিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলাকে ‘ভয়াবহ ব্যর্থতা’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বিষয়টি গভীর তদন্তের দাবি রাখে, যাতে ইসরায়েলি জনসাধারণের আস্থা পুনরুদ্ধার করা যায়।

নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো দাবি করেছে, হানেগবি গণমাধ্যমে তথ্য ফাঁস করছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বকে দুর্বল করে তুলছিলেন। এছাড়াও, নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারা নেতানিয়াহু তার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

এ ঘটনাটি ইসরায়েল সরকারের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান সংকট ও মতপার্থক্যের একটি নতুন দৃষ্টান্ত। এর আগে চিফ অব স্টাফ তাচি ব্রাভারম্যানকে লন্ডনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হয়েছে। কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমারও শিগগিরই পদত্যাগ করতে পারেন বলে খবর রয়েছে।

৭ অক্টোবরের হামলার পর দেশটির সামরিক ও নিরাপত্তা শাখায় একের পর এক পদত্যাগের ঘটনা ঘটছে। তবুও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কোনো দায় স্বীকার করেননি এবং পদত্যাগেরও কোনো ইঙ্গিত দেননি। তিনি বরাবরই দাবি করে আসছেন, হামলার জন্য দায়ী নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা ব্যর্থতা—রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়।

বর্তমানে মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনেয়া হচ্ছেন একমাত্র শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা যিনি ৭ অক্টোবর হামলার সময় দায়িত্বে ছিলেন এবং এখনও পদে বহাল আছেন।

১১৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন