সর্বশেষ

জাতীয়

দেশের রাজনৈতিক ঐক্য দৃঢ় হয়েছে: মুহাম্মদ ইউনূস

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ৩:১৮ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ঐক্য দৃঢ় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এই সনদে স্বাক্ষরকারীরা যেন মনে রাখেন, তারা একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য একসঙ্গে কাজ করছেন।

যারা স্বাক্ষর দিয়েছেন, তাঁরা আবার বসে আলোচনা করে নির্বাচন আরও সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারেন। এটি যে কোনও সাধারণ নির্বাচন নয়, এটি একটি ঐক্যের পরিচয়।

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই সনদে স্বাক্ষর করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, মানুষ যেন মনে রাখে, যারা এই সনদে স্বাক্ষর করেছেন তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে এগিয়ে গেছেন। পুলিশি হস্তক্ষেপ বা ধাক্কাধাক্কি যেন না হয়, নিজেদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে। নিজেদের নির্বাচন নিজেরাই পরিচালনা করবে, কারো হস্তক্ষেপের দরকার নেই।

সনদে স্বাক্ষর নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মন্তব্য করেন, আজকের দিনটি বিশেষ। একত্রিত হয়ে সব রাজনৈতিক দল এই স্বাক্ষরে স্বাক্ষর করেছে, যা আগে কখনো হয়নি। যখন কমিশন গঠন করা হয়, তখন মনে হয়েছিল হয়তো এক বা দু’টি বিষয়ে একমত হতে পারবো। কিন্তু সব দল আলোচনা করে একত্রিত হয়েছে—এটা সত্যিই আশ্চর্যজনক।

তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ বর্বরতা থেকে সভ্যতার পথে এগিয়ে গেছে। আগে যেখানে আইন-কানুনের অভাব ছিল, এখন আমরা সভ্য সমাজের দিকে এগুচ্ছি। ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য আশাপ্রদ, যেখানে সমাজ হবে আরও সুন্দর।

তিনি আরও স্মরণ করেন, জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন বা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই স্বাক্ষর ও কমিশন করার পেছনে যারা ছিলেন, তাদের স্মরণ করতেই হবে। এই আন্দোলনের নায়কদের অবদান অমূল্য।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই সনদ বাংলাদেশের পরিবর্তনের সূচনা। ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি তরুণদের সম্ভাবনা, সমুদ্র বন্দরের গুরুত্ব ও বঙ্গোপসাগরের সম্পদ ব্যবহারের বিষয়ে আলোকপাত করেন। বলেন, সমুদ্র বন্দর তৈরি করলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। মাতারবাড়ি, কক্সবাজার ও মহেশখালীকে উন্নত করে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের মতো এক আধুনিক বন্দরে পরিণত হতে পারে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও আঞ্চলিক সংযোগ আরও শক্তিশালী হবে।

অভ্যুত্থান ও স্বাক্ষরে সামিল নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ও প্রত্যাশা এই স্বাক্ষর স্মারক। এই অগ্রযাত্রায় প্রত্যেকেরই অবদান রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন মতের হলেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে দেশের উন্নয়নের কাজ।’

১১৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন