সর্বশেষ

আইন-আদালত

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে পঞ্চম দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন মামলার প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তিনি এদিন ট্রাইব্যুনালের কাছে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি, আসামিদের অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্রোক করে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানান।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এদিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এদিনের ট্রাইব্যুনাল কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এর আগেও ১২ অক্টোবর শুরু হওয়া যুক্তিতর্কের ধারাবাহিক চার দিনের প্রতিটি কার্যক্রম সম্প্রচারে আনা হয়। গত ১১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই এ সরাসরি সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।

মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা ও অন্য স্বজনহারা পরিবার, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও ‘জুলাই আন্দোলন’-এর অন্যতম নেতা নাহিদ ইসলাম, এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিচার চলাকালে দোষ স্বীকার করে ‘রাজসাক্ষী’ (অ্যাপ্রোভার) হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার পক্ষে শুনানি পরিচালনা করছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। অন্যদিকে পলাতক অবস্থায় থাকা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন যুক্তিতর্কে অংশ নিচ্ছেন।

মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয় গত ১০ জুলাই। এরপর ৩ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলে সাক্ষ্যগ্রহণ। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন মো. জানে আলম খান এবং পরে তদন্তের দায়িত্ব নেন মো. আলমগীর। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় ১২ মে, এবং ৩১ মে দেওয়া হয় সম্পূরক অভিযোগ।

প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম জানিয়েছেন, রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে যাবে। মামলার গুরুত্ব ও পরিণতি নিয়ে দেশব্যাপী রয়েছে তীব্র আলোচনা এবং নজর।

১০৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আইন-আদালত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন