সর্বশেষ

জাতীয়

৫ ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ৪:৪৬ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়া শরিয়াভিত্তিক পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করে একটি নতুন ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।


এই একীভূত প্রক্রিয়ায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সব সম্পদ ও দায় নতুন একটি ব্যাংকে স্থানান্তরিত হবে। নতুন ব্যাংকের জন্য প্রস্তাবিত নাম দুটি হলো— 'ইউনাইটেড ইসলামিক ব্যাংক' এবং 'সম্মিলিত ইসলামিক ব্যাংক'।


প্রাথমিকভাবে নতুন ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ধরা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা, এবং পরিশোধিত মূলধন হবে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা আসবে বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের আমানতকে মূলধনে রূপান্তরের মাধ্যমে (বেইল-ইন প্রক্রিয়া), এবং ২০ হাজার কোটি টাকা সরকার মূলধন হিসেবে সরবরাহ করবে।

প্রথম ধাপে ব্যাংকটি থাকবে রাষ্ট্রীয় মালিকানায়। এরপর পর্যায়ক্রমে বেসরকারি খাতে এর মালিকানা হস্তান্তর করা হবে, যা বাস্তবায়নে প্রায় পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে বলে সরকার আশা করছে।


প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, একীভূত হওয়ার ফলে কোনো কর্মচারী চাকরি হারাবেন না, এবং কোনো আমানতকারী তার আমানত হারাবেন না।


বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি চলমান সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ছয়টি ইসলামি ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান মূল্যায়নের জন্য দুটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়। মূল্যায়নে দেখা যায়, এসব ব্যাংকে রয়েছে বিশাল অঙ্কের শ্রেণিকৃত ঋণ, মূলধন ঘাটতি এবং প্রভিশন ঘাটতি।

এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ বিভাগকে সুপারিশ করে, এর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করে একটি নতুন শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্রীয় ব্যাংকে রূপান্তর করতে। আইনি জটিলতার কারণে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংককে এই মার্জার প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়েছে।


সরকার জানিয়েছে, ব্যাংকগুলোর আর্থিক দুরবস্থার কারণে আমানত পরিশোধে অক্ষমতা দেখা দিচ্ছে, যার ফলে জনগণের মধ্যে ব্যাংকিং খাতের প্রতি আস্থাহীনতা তৈরি হচ্ছে—যা দেশের সামগ্রিক আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

এই প্রেক্ষাপটে গত ৮ সেপ্টেম্বর গঠিত একটি আট সদস্যের ওয়ার্কিং কমিটি বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড মিটিংয়ে ‘রেজোলিউশন পরিকল্পনা স্কিম ২০২৫’ অনুমোদিত হয়। সর্বশেষ, উপদেষ্টা পরিষদের সম্মতির মাধ্যমে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়।

১৭৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন