সর্বশেষ

জাতীয়

ঢাকায় যানজট কমাতে ৭০টি মোড়ে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ডিএমপির

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৯:০১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
যানজটের নগরী হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগরীতে দীর্ঘদিনের যানজট কমাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ৭০টি মোড় ও ইন্টারসেকশনে ইউটার্ন স্থাপনসহ বিভিন্ন পরিবর্তনের ফলে যান চলাচলে উল্লেখযোগ্য স্বস্তি এসেছে।

২০০৬ সালে ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের গড় গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। তবে দীর্ঘ সময় যানজট ও সড়ক জুড়ে গাড়ির জমাট বাঁধার কারণে ২০২৪ সালে তা মাত্র ৫ কিলোমিটারে দাঁড়ায়। কিন্তু চলতি বছরের বিভিন্ন মোড়ে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে গতি আবার বৃদ্ধি পেয়ে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারে পৌঁছেছে।

ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সরওয়ার জানান, ‘রাজধানীর ৭০টি ইন্টারসেকশনে মোডিফিকেশন করে যানজট কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন মোড়ে ইউটার্নের মাধ্যমে গাড়ির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এতে গাড়ির গতি বাড়ার পাশাপাশি যানজটও কমেছে।’

আড়ং মোড় থেকে শুরু করে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সিগন্যাল, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, নিউমার্কেট ও ফার্মগেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজট কমাতে রাস্তার কিছু অংশ বন্ধ করে ইউটার্নের সুবিধা চালু করা হয়েছে। এতে একাধিক মোড়ে সিগন্যালের অপেক্ষা কমেছে, গাড়ির চলাচল মসৃণ হয়েছে।

মৌমিতা পরিবহনের বাসচালকের সহকারী সবুজ হোসেন বলেন, ‘আগে আড়ং মোড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিগন্যালের কারণে গাড়ি আটকে থাকতো। এখন সংসদের সামনে ইউটার্নের সুবিধা পাওয়ায় গাড়ি থেমে থাকতে হয় না।’

মোটরসাইকেল চালক মহিদুল ইসলাম জানান, ‘আগের তুলনায় যানজট অনেক কমেছে। এখন সিগন্যাল এলে পুরো সময় থেমে থাকতে হয় না, গাড়ি ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে।’

ডিএমপি’র নতুন ডিজিটাল ট্রাফিক লাইট প্রকল্প ও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল মামলা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যা যান চলাচলকে আরও সহজতর করছে।

সরওয়ার আরও জানান, ‘আমরা ভিডিও ধারণ ও ডিজিটাল মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করছি এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আরও উন্নয়ন করতে কাজ করে যাচ্ছি।’

ঢাকা মহানগরীর এই নতুন উদ্যোগগুলো থেকে সাধারণ মানুষ যে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে তা স্পষ্ট। তবে যানজট থেকে সম্পূর্ণ মুক্তির জন্য আরও কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

১১৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন