রাকসু নির্বাচন পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর: মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন প্যানেলের

মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৩:৩০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তেজনা ও অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন এক দফা পেছালো।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন নতুন তারিখ ঘোষণা করে—ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৬ অক্টোবর।
এদিন সকাল থেকেই নির্বাচন পেছানোর দাবিতে একাধিক প্যানেলের প্রার্থীরা আন্দোলনে যুক্ত হন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে ছাত্রদল, বামপন্থি সংগঠনসহ পাঁচটি প্যানেল নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবি জানায়। অন্যদিকে, ইসলামী ছাত্রশিবির দাবি তোলে পূর্বঘোষিত সময়, অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বরেই নির্বাচন আয়োজনের।
নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি প্যানেল। ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী তাসিন খান, যিনি রাকসুর ইতিহাসে প্রথম নারী ভিপি প্রার্থী, বলেন, “২৫ সেপ্টেম্বর একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব ছিল না। বিশেষ করে ‘পোষ্য কোটা’ সমস্যার সমাধান না হলে নির্বাচন ঘিরে সংকট থেকেই যেত।”
গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ফুয়াদ রাতুল বলেন, “ছাত্রদের দাবির মুখে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তারিখ বারবার পরিবর্তনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা তৈরি হচ্ছে।”
ছাত্রদল মনোনীত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফী অভিযোগ করেন, “শিক্ষক ও কর্মচারীদের ‘অন্যায্য’ দাবিকে ঘিরে তৈরি হওয়া অচলাবস্থার সুযোগ নিয়েছে জামায়াত-শিবিরপন্থি একটি মহল। তারা চেয়েছিল স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যেন প্রচার চালাতে না পারে।”
আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, “নির্বাচন শিক্ষার্থীদের। তাদের মতামত অনুযায়ীই তারিখ পেছানো হয়েছে। আশা করছি, এবার একটি উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।”
নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। তাদের দাবি, এটি একটি রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ, যার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে।
‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা ‘পোষ্য কোটা’ ইস্যু সামনে এনে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করেছে। এতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তারা নির্বাচন চায় না।”
একই প্যানেলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রার্থী জাহিদ হাসান জোহা বলেন, “নির্বাচন পেছানোর মাধ্যমে একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”
রাত সাড়ে ৯টায় রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের অবস্থান তুলে ধরে এবং পরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
১২০ বার পড়া হয়েছে