পোষ্য কোটার দাবিতে এবার কর্মবিরতিতে রাবির শিক্ষক-কর্মকর্তারা

রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৭:০৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ইস্যুতে চলা আন্দোলনে উপ-উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষকের ওপর ‘হামলার’ প্রতিবাদ এবং জড়িতদের শাস্তির দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান নিয়ে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।
একইসঙ্গে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এর আগে, শনিবার এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি এবং এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল আলিম।
একই দিন রাত সাড়ে ৯টায় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জুবেরী ভবন একটা আবাসিক এবং ক্লাব ভবন। সেখানে আমাদের উপ-উপাচার্যসহ কয়েকজন সহকর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আগামীকাল একদিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হবে।’
এদিন দুপুরে দুই উপ-উপাচার্যের বাসভবনে তালা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বাসভবনের ভেতরে ঢুকতে না পেরে জুবেরী ভবনের দিকে আসেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খান, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান। একপর্যায়ে তারা জুবেরী ভবনের দিকে আসতে থাকলে শিক্ষার্থীরাও স্লোগান দিয়ে তাদের পিছু পিছু অগ্রসর হন।
জুবেরী ভবনের বারান্দায় এলে এক শিক্ষক এবং ছাপাখানার এক কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের আটকানোর চেষ্টা করেন। এসময় হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খানকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে উপ-উপাচার্য ভবনের দ্বিতীয় তলায় চলে গেলে শিক্ষার্থীরা তাকে ভবনের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এ বিষয়ে রাবি অফিসার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোক্তার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) থাকলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে তা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। গতকাল আমাদের সহকর্মীদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
তবে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের এই কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখা হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের কার্যক্রম।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা রাকসু নির্বাচন নিয়ে খুবই আশাবাদী এবং আমরা চাই নির্বাচন হোক। এ কারণেই রাকসুর সব কাজ আমরা কর্মসূচির বাইরে রেখেছি।’
এদিকে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দাবি এবং চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
১০৯ বার পড়া হয়েছে